নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর স্বামীর পরিচিতিকে ব্যবহার করেই নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে তৃনমূল, এমনই অভিযোগ আনলেন ১২ঘন্টা আগে তৃনমূল রাজ্য কমিটি প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় থাকা খড়গপুর শহররের এক গৃহবধূ। খড়গপুর পৌরসভার ১১নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃনমূল। যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে নাজেহাল হয়েছিল তৃনমূল। দু’দুবার বদল করতে হয়েছে সেই প্রার্থী তালিকায় কিন্তু তারপরও প্রার্থী তালিকায় রয়ে গেছে তাঁর নাম। সেই কাকলী ঘোষ জানিয়েছেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি এটা জানার পর যে, আমাকে প্রার্থী করা হয়েছে জেনে। ঠিক একই ভাবে ২৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থীও জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি প্রার্থী হতে চাননা বলে।
কাকলী ঘোষ জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে তো দুরের কথা আমার স্বামীর সঙ্গে পর্যন্ত আলোচনা করা হয়নি। আমি নিজে অসুস্থ তার ওপর আমার মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে। তাকে আমাদের সময় দেওয়া দরকার। আমার স্বামী জয়ন্ত কুমার ঘোষ এই এলাকার জনপ্রিয় প্রাইভেট টিউটর। ইংরেজি পড়ান তিনি। তাঁর প্রচুর ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এলাকায় সুখ্যাতি রয়েছে। আমি তৃনমূলকে সমর্থন করি ঠিকই কিন্তু তা’বলে প্রার্থী হয়ে দলাদলির মধ্যে গিয়ে সেই সুখ্যাতি বিভাজন করতে চাইনা। কাকলী আরও জানিয়েছেন, ২০১০ সালেও আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমি তা প্রত্যাখান করেছি। সেটা জানা স্বত্ত্বেও ওনারা আমার নাম পাঠালেন কী করে?
কাকলী বলেন, আমি তো নিপাট গৃহবধূ। বাড়িতেই থাকি। সরাসরি কোনও মিটিং মিছিল জনসভায় যাইনা। আমার কোনও পরিচিতিই নেই। যার অর্থ পরিস্কার যে আমার স্বামীর পরিচিতিতাকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া আমার রাজনৈতিক সমর্থন তৃণমূলে হয়ত আছে কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আমার আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব রয়েছেন। আমি একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে সেই সম্পর্ক নষ্ট করতে নারাজ। তাই আমি সর্বভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি প্রার্থী হতে নারাজ।
এদিকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী জেসু নায়েকও জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি প্রার্থী হতে চাননা। এই মর্মে খড়গপুর শহর তৃনমূল সভাপতি দ্বীপেন্দু পালের কাছে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে বহু জায়গাতেই ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে কথা না বলেই তাঁদের নাম পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের কাছে। বিরোধী দলগুলি বলছে, এটাই হওয়ার ছিল। প্রার্থীর আকাল পড়েছে তৃনমূলে। ভালো কেউই প্রার্থী হতে চাইছেনা তাই জোরজার করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃনমূলের শহর সভাপতির বক্তব্য, অনেক জায়গা থেকেই রাজ্য কমিটিতে আলাদা আলাদা নাম গেছিল। তারই মধ্য থেকেই রাজ্য তালিকা ঘোষণা করেছে। এই দু’জনের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি আমরা।