নিজস্ব সংবাদদাতা: আপাতত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বিদায়, ফের ঝাঁপাতে চলেছে শীত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গে মিলতে চলেছে শীতের আমেজ। আর এবার দক্ষিনবঙ্গের খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় সর্বাধিক ঠান্ডা পড়তে পারে। কেন সুনির্দিষ্ট ভাবে খড়গপুর মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রামের কথা বলা হচ্ছে? আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার লক্ষণ ফুটে উঠছে ধিরে।
ওই দুটি অক্ষরেখার দৌলতে বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করবে। তাই উপকূলীয় অঞ্চলে কিছুটা থমকে যাবে শীতের প্রকোপ। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল অবধি উত্তুরে হওয়ার দাপট থাকবে ঝঞ্ঝা সক্রিয় না হয়ে ওঠা অবধি। মোটামুটি ৫ দিন লেগে যেতে পারে ওই ঝঞ্ঝা সক্রিয় হতে। ওই ৫ দিন ঝাঁপিয়ে বেড়াবে শীত। এই তিন দিনে খড়গপুর মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ৩ থেকে ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস অবধি নেমে যেতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আজ বুধবার খড়গপুর মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের আকাশে সকালের দিকে কিছুটা মেঘলা হলেও ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকায় তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে ঝকঝকে আকাশ থাকছে ওই তিন শহরেই। বুধবার এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের চেয়ে প্রায় ২ডিগ্রী কমে গেছে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পতনের ফলে বুধবার বিকাল থেকেই শীত বোধ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার আকাশ পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যাওয়া তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে এবং আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সেক্ষেত্রে খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামে ১০ডিগ্রীর আশেপাশে ঘোরা ফেরা করতে পারে শীত। সঙ্গে ভোরের দিকে ভারী কুয়াশার সতর্কতাও রয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর ভারতের প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জারি হয়েছে সতর্কতা। রাজধানী দিল্লি, নয়ডা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান জুড়ে শীতের দাপট অব্যাহত। তার প্রভাব পড়ছে বাংলাতেও। যে কারনেও শীত পড়তে পারে জাঁকিয়ে। মেঘলা আকাশ পরিষ্কার হতেই ঠান্ডার প্রত্যাবর্তন ঘটবে বঙ্গে। তবে মাঘের দ্বিতীয়ার্ধে কি শীতের ইনিংস দীর্ঘায়িত হবে? সেই বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি হাওয়া অফিস। মনে করা হচ্ছে অনুমিত পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি সক্রিয় হতে শুরু করলে আবার পিছু হটবে শীত। তবে তা হতে হতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি। ততদিন বরং জাঁকিয়ে শীতের আমেজ ভোগ করা যাক।