নিজস্ব সংবাদদাতা: মহকুমার একমাত্র বড় হাসপাতাল শুধু নয়, দু-দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক ও দেশের একটি বৃহত্তম রেল জংশন লাগোয়া খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতাল। খুব স্বাভাবিক ভাবেই রুগীর চাপ মারাত্মক আকারে বেশি। বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে রুগী উপচে পড়ে। যদিও রুগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতালের তরফে সেই উদ্যোগ নেই যা থাকা উচিত এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। শনিবার তেমনই কিছু অভিযোগ নিয়ে মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিলেন ‘আমরা বামপন্থী’ খড়গপুরের সদস্যরা। খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে দেওয়া ওই ডেপুটেশনে
হাসপাতালের সমস্যা ও অব্যবস্থা বর্ননা করে তা অবসানের দাবী করা হয়েছে।
এদিন ডেপুটেশন দিতে গিয়ে “আমরা বামপন্থী খড়গপুর” নেতা অনিল দাস বলেন, আমাদের প্রিয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবার কেন্দ্র, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ ৪০-৪২জন ডাক্তার পোষ্টিং রয়েছেন। অথচ সাধারণ রোগীরা তার যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন না। আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করছি যে বেশ কিছু সমস্যা ও বিষয়ের জন্য সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই সব বিষয়গুলি আমরা আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য লিখিত ভাবে রাখলাম। আশা করি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ওই সমস্যা ও অব্যবস্থাগুলি দ্রুত অবসান হবে এবং চিকিৎসার জন্য আসা ব্যাক্তিরা উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে।”
ডেপুটেশনে দাবি করা হয়েছে মহকুমার দূরদূরান্ত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীর বহির্বিভাগে আসেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ডাক্তারবাবুরা সঠিক সময়ে বহির্বিভাগে না আসায় তাঁদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ওই ডেপুটেশনে
সাধারণ ডাক্তারবাবুদের রুম বাড়ানোর পাশাপাশি
প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুদের বহির্বিভাগ চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। ডেপুটেশনে এও দাবি করা হয়েছে একজন রোগীকে টিকিট কাটা থেকে বহির্বিভাগে ডাক্তারবাবুদের দেখানো এবং টিকিট কাটা থেকে ওষুধ নেওয়া পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এই ব্যবস্থার সরলীকরণ ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই একাধিক কাউন্টার চালু করতে হবে
ডেপুটেশনে দাবি করা হয়, হাসপাতাল থেকে সমস্ত ওষুধ দিতে হবে। যদি কোনও ওষুধ না থাকে তবে তা যে সরকারি ভাবে সরবরাহ নেই তা টিকিটের উপর সরবরাহ নেই এটা লিখে দিতে হবে। সেই ওষুধ যেন সুলভ মুল্যে ওষুধ দোকানে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী এক্স-রে বন্ধ আছে তা চালু করা। চিকিৎসার স্বার্থে ইউ এস জির প্লেট রোগীকে দিতে হবে। ফিজিওথ্যারাপীর জন্য প্রতিদিন ২জনকে বহাল করার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে জঙ্গল ও যত্রতত্র আবর্জনা, আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করা,ওয়ার্ডগুলির বাথরুম প্রতিদিন ও নিয়মিত তা পরিচ্ছন্ন করার দাবি করা হয়। অনিল দাস ছাড়াও এদিন মনোজ ধর, গোপেন্দু মহাপাত্র, কেয়া শিট সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।