নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি স্বর্ণ ও রৌপ্য অলঙ্কারের দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া একটি দুস্কৃতিদলকে পাকড়াও করে ডাকাতির ছক ভেস্তে দেওয়া গেল দাবি করল খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ধৃত দুস্কৃতিদের কাছ থেকে একটি ইম্প্রোভাইজ রিভলবার ছাড়াও ডাকাতি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হল গোলবাজার আজাদ বস্তি সংলগ্ন সেক সাহিল ওরফে কাদন এবং মহম্মদ আভেদ। নিউ স্টেলেমেন্ট এলাকার পি সাই এবং কমলনগর, নিউ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সেক সাবির আলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শনিবার রাতে নিজস্ব সূত্র মারফৎ পুলিশ খবর পায় যে গোলবাজারের রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট কম্পাউন্ডের অন্ধকার মাঠে কিছু দুষ্কৃতি জড়ো হয়েছে। এরপরই টাউন থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক বিষয়টি জানায় শহরে টহলরত পুলিশভ্যানের আধিকারিক এএসআই সাধন পাত্রকে। সঙ্গে থাকা কন্সটেবল সৌমেন্দ্র নাথ ঘোষ ও এনভিএফ কর্মী গোকুল চন্দ্র মাহাতোকে নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। ওই পুলিশ দলটিকে সাহায্য করার জন্য পুলিশের আরেকটি দল এএসআই দেবাশিস সরকারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট থেকে বেশ কিছুটা দুরে গাড়ি দুটি রেখে কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করে তাঁরা। লক্ষ্য করেন ইনস্টিটিউটের অন্ধকার একটি অংশে কয়েকজন জড়ো হয়ে নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওদেরকে চেজ করতেই কয়েকজন পালিয়ে যায়। উক্ত চারজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরার মুখে একেক জন একেক রকম কথা বলতে থাকে। ধৃতদের তল্লাশি করতেই পাওয়া যায় একটি রিভলভার, দোকানের সাটার কাটার জন্য একটি যন্ত্র, লোহার রড, টেনসার ব্লেড ইত্যাদি। এছাড়াও একাধিক মুখোশ ও গ্লাভস উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে। জেরার মুখে শেষ অবধি তারা স্বীকার করে নেয় যে একটি সোনার দোকান লুঠ করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল তারা। ঠিক কোন দোকানে তারা ডাকাতি করতে এসেছিল তা খোলসা করে বলেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে যে গহনা দোকানে তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল তার ২০০ মিটারের মধ্যেই অবস্থান করছিল ডাকাত দলটি।