Saturday, July 27, 2024

Kharagpur Corona: বিশ্ব জুড়ে করোনার চোখ রাঙানির মধ্যেই খড়গপু্র শহরে মিলল ২ করোনা আক্রান্ত মহিলা! ৭ দিন জেলা করোনা মুক্ত থাকার পর রেল শহরে আবার করোনার হদিস

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত এক সপ্তাহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কোনও করোনা ( Covid 19)আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। সাত দিনের মাথায় ফের যে দুজনের শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া গেল তাঁরা দুজনেই খড়গপু্র শহরের বাসিন্দা বলেই জানা গেছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে সোমবার জেলায় দুজনের শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে এঁদের একজন খড়গপু্র শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড মালঞ্চ এবং অন্যজন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর কালী মন্দির এলাকার বাসিন্দা। এই দুই করোনা আক্রান্ত রুগীর আরটি/পিসিআর (RT/PCR) পরীক্ষায় দুজনেরই পজিটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

এঁরা দুজনেই মহিলা। শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেছিলেন। চিকিৎসকরা দুজনকেই আরটি/পিসিআর পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষা করার পরই এই ঘটনা জানতে পারা গেছে। জানা গেছে আক্রান্ত মহিলাদের একজনের বয়স ৫৪ বছর, অন্যজনের ৬৬। একটি সূত্র মারফত জানা গেছে কালী মন্দির এলাকার এক  ৫৪ বছরের গৃহবধূ সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনায় কোমরের হাড় ভেঙে যায়। সেই চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে শরীরে করোনার অস্থিত্ব পাওয়া যায়।

অন্যদিকে মালঞ্চ এলাকার একটি রেল আবাসনের বাসিন্দা ৬৬ বছরের বৃদ্ধা গত ২০ বছর ধরে ফাইলেরিয়া রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি তাঁর শরীরের রক্ত কম হওয়ায় কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। প্রথমে বেসরকারি এক চিকিৎসককে দেখানোর পর গত ১৯ তারিখ তাঁকে রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা আরটি/পিসিআর পরীক্ষা করাতে বলেন। সেক্ষেত্রেও তাঁর পজিটিভ সংকেত পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে কালী মন্দির এলাকার ওই বাসিন্দা গৃহবধূ করোনা প্রতিষেধকের দুটি ডোজই নিয়েছেন। তিনি ইদানিং শহরের বাইরে কোথাও যাননি। তাঁর পরিবারের অন্য কারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই।

অন্যজনের বৃদ্ধার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে করোনার একটি মাত্র প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। ওই বৃদ্ধা ফাইলেরিয়া রোগে আক্রান্ত। পা দিয়ে পুঁজ গড়ানোর কারনে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এই পরিবারের এক ব্যাক্তি অবশ্য পাশের রাজ্য ওড়িশায় কর্মরত। সপ্তাহে একদিন বাড়িতে আসেন। দুই মহিলাই বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং দুজনের শরীরই বর্তমানে সুস্থ। তবে বৃদ্ধার রক্তাল্পতা রয়েছে। দুই পরিবারেরই বাকি সদস্যরা সুস্থই আছেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশংকর ষড়ঙ্গী নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কোনও দরকার নেই। আমরা সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

বিশ্বজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে করোনার নতুন প্রকরন নিয়ে। ‘ওমিক্রন বিএফ.৭’ এর উপসর্গ নিয়ে কাঁপছে চীন জাপান রাশিয়া দক্ষিণ কোরিয়া আর ব্রাজিল। ভারতের গুজরাট আর ওড়িশাতেও মিলেছে ‘ওমিক্রন বিএফ.৭’ কিন্তু মানুষের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই। ট্রেনে বাসে সিনেমা হল কিংবা শপিং মলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাস্ক হীন মানুষ। আতংক নয় সচেতন থাকুন, বলছে সব্বাই কিন্তু কোথায় সচেতনতা? মানুষের এই বেপরোয়া মনোভাব ফের কী লক ডাউন ডেকে আনবে? এমনই আশংকার  মাঝে খড়গপু্র শহরে দুই করোনা আক্রান্তর সন্ধান মিলল নতুন করে। জানা গেছে গত রবিবার থেকে জেলায় কোনোও করোনা আক্রান্তের সন্ধান ছিলনা।

- Advertisement -
Latest news
Related news