নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিল পশ্চিম মেদিনীপুর তৃনমূল কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ১৫ প্রার্থীকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল দল। বুধবার মেদিনীপুর শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই ঘোষণা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেস। এছাড়াও আরও ২জনকে দলে রাখলেও পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলেন খড়গপুর শহর যুব সভাপতি অসিত পাল ওরফে ছোটকা। রয়েছেন ক্ষীরপাই শহর তৃনমূলের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নির্মল হালদার। উল্লেখ্য খড়গপুর শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অসিত পালের ভাতৃবধূ জয়া পাল। অন্যদিকে ক্ষীরপাইয়ে মনোজ হালদারের মা সুনিতী হালদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নির্দল হিসাবে।
যে নির্দল এবং প্রার্থীকে দল থেকে সরাসরি বহিস্কার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে মেদিনীপুরের ৭ জন, খড়গপুরের ৫জন, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা ও রামজীবনপুরের ১জন করে রয়েছে। মেদিনীপুরের ৭ জন হলেন সৌরভ বিশই, এরসাদ আলি, অর্পিতা রায় নায়েক, সোমা মাইতি, অঞ্জলি চৌধুরী, অঞ্জনা রায়, মানস দাস। খড়গপুর শহরের রিনা শেঠ, জগদম্বা গুপ্তা, তপন প্রধান, সুমিতা দাস, জয়া পাল। ক্ষীরপাইয়ের সুনীতি হালদার, চন্দ্রকোনার ওসমান গেনি এবং রামজীবনপুরের অসিত সরকার।
এদিকে খড়গপুর শহর যুব সভাপতি অসিত পাল জানিয়েছেন, আমি এখনও দলের তরফে কোনও কিছু জানতে পারিনি। জেলার যুব সভাপতি বা দলের পক্ষে আমাকে কেউ কিছু জানাননি। আমি দলের নির্দেশ মেনেই প্রার্থী হইনি কিংবা আমার স্ত্রীও প্রার্থী হননি। যেহেতু আমার বাবা প্রার্থী হয়েছেন এবং আমি আমার বাবার হয়েই প্রচার করছি। এরপরও যদি দল আমাকে পদ থেকে সরায় আমি সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করব। যেহেতু আমাকে দল থেকে সরানো হয়নি। এমনিতেই আমার ৪০ বছর হয়ে গেছে আমি যুব সভাপতি থাকতে পারিনা। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবেই কাজ করে যাব।
অন্যদিকে তপন প্রধান, জগদম্বা গুপ্তা, সুমিতা দাসরা জানিয়েছেন যে তৃনমূল কংগ্রেস বরাবরই একটু দেরিতে হাঁটে। দল তাদের বহিস্কার করার আগেই তাঁরা দলকে বহিষ্কার করে এসেছেন। তাই এই বহিষ্কারে তাঁদের কিছুই এসে যায়না। নির্দল প্রার্থীদের অধিকাংশই জানিয়েছেন লড়াই থেকে পিছু হটার প্রশ্ন নেই, লড়াই চলবে।