নিজস্ব সংবাদদাতা: বছরের প্রথম শনিবার শুরু আর রবিবার শেষ। এই ছিল গত ২১ বছরের অভ্যাস। কিন্তু দু’দশক ছড়ানো সেই অভ্যাসের বদল ঘটতে চলেছে ২০২২ সাল। বছরের শুরুর দিনটাই এবার শনিবার পড়েছে আর গত প্রায় ২বছর ধরে করোনার প্রকোপে মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে গেছিল উৎসব। করোনা প্রকোপ কমায় শহর ফের এবার বর্ষ শুরুর উৎসবে মেতে উঠবেন সে কথা মাথায় রেখেই তাই এবার শনিবারের বদলে রবিবার শুরু হতে চলেছে খড়গপুর বইমেলা। অন্যদিকে রবিবারের বদলে এবার সোমবার মেলা শেষ হচ্ছে বলে জানালেন মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা দেবাশিস চৌধুরী।
রবিবার খড়গপুর বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে খড়গপুর বইমেলার উদ্যোক্তা কমিটি মানস গৌতম নারায়ণ চৌবে মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় বইমেলা এবারে ২২ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। মেলার উদ্বোধন হবে ২রা জানুয়ারি এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে ১০ জানুয়ারি। ২২ তম খড়গপুর বইমেলার থিম দূষণ। এই দূষণ আটকানোর জন্য এবারেও বইমেলা প্রাঙ্গণকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কমিটির পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় খরিদা এলাকায় রেলের নির্মীয়মান উড়ালপুলের জন্য রেল উৎকল বিদ্যাপীঠ মোড় থেকে খরিদা রেলগেট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারন মানুষদের। বইমেলা কমিটির সম্পাদক দেবাশিস চৌধুরী জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দিরের কাছ থেকে যাতায়াতের উপযোগী একটি বিকল্প রাস্তা তৈরীর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তিনি বলেন ” এই বিষয়ে কথা বলার জন্য রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করব। তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে এইবারেও বইমেলার আয়োজন করা হবে। তবে করোনা আতঙ্ক থেকে সকলকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করে তিনি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবারে বইমেলায় ‘ দূষণে বিপন্ন খড়গপুর’ এই শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা হবে। তারজন্য গোটা শহরের তিনটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে। ইন্দা, মালঞ্চ ও তালবাগিচায় এই প্রতিযোগিতা হবে বিদ্যালয় পড়ুয়াদের নিয়ে।
এছাড়া এবারে বইমেলার প্রচারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে প্রেমবাজার থেকে তালবাগিচা, মালঞ্চ এলাকার অতুলমনি স্কুল প্রাঙ্গন থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর বিদ্যালয়, সুভাষপল্লী গেট থেকে ভবানীপুর মাঠপাড়া ও খড়গপুর কলেজ থেকে পুরাতনবাজার মোড় পর্যন্ত চারটি পদযাত্রা হবে বলে তিনি জানালেন। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তপন কুমার পাল, কবি সুনীল মাজি, সঙ্গীত শিল্পী সৌমেন চক্রবর্তী, আবৃত্তি শিল্পী কৃশাণু আচার্য, আইনজীবী দেবাশিস মন্ডল, নাট্যশিল্পী দেবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ অর্ণব পাল প্রমুখ।