নিজস্ব সংবাদদাতা: মরশুমের সেরা শীতে কাঁপছে খড়গপুর মেদিনীপুর। দুই শহরের নূন্যতম তাপমাত্রা নেমে গেছে ১১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ঘরে। সঙ্গে তিরতির করে বয়ে চলা উত্তুরে হাওয়া হাড়ে কাঁপন ধরিয়েছে কাঁসাই পাড়ের দুই শহরের। ডিসেম্বরের গোড়ায় ২ এবং ৩ তারিখ এ মরশুমের সর্বাধিক ঠান্ডা পরিলক্ষিত হয়েছিল। ন্যূনতম ১৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল তাপমান। তখনও পর্যন্ত সেটাই ছিল সেরা ঠান্ডা। তখনই বলা হয়েছিল আসতে চলেছে হাড় কাঁপানো শীত। কিন্তু নিম্নচাপ জাওয়াদ ভণ্ডুল করে দিয়েছিল শীতের আগমন। জাওয়াদের প্রভাব কাটতেই ফের স্বমহিমায় ফিরছে শীত। সোমবার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন 13.04 ডিগ্রি নেমে গিয়েছিল। মঙ্গলবার তা আরও নেমে দাঁড়ালো 11.98 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সাথে নিচে নেমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 25.54 ডিগ্রি। মঙ্গলবার তা নেমে হয়েছে 25. 29. সোমবার আর দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল 17.82 ডিগ্রি আর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় সেই গড়তাপমান পরিলক্ষিত হয়েছে 17.44 ডিগ্রি। নিশ্চিতভাবেই রাতের দিকে তাপমান আরও নামবে।আর তার জেরে মঙ্গলবারই এখনও পর্যন্ত এ মরসুমের শীতলতম দিন।
সব মিলিয়ে কাঁসাইয়ের দু’পাড়েই জাঁকিয়ে বসেছে শীত। খড়গপুরের গেটবাজার, গিরিময়দান কিংবা মেদিনীপুরের রাঙামাটি, সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসে পথবাসীদের দেখা গিয়েছে খড়কুটো জ্বেলে শরীর গরম করতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আকাশ থাকবে পরিষ্কার। তবে এই সময়ে সকালের দিকে কিছু এলাকা কুয়াশায় ঢাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। ফলে শীত আরও বাড়বে আগামী দিনে।
এ বছর বর্ষা হয়েছে বেশি এবং প্রলম্বিত হয়েছে মৌসুমী বায়ুর বিদায়। যে কারনে আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন জোরালো ঠান্ডা পড়ার। এই মরশুমে সময়মতো শীত তার ইনিংস শুরুও করেছিল কিন্তু বারবার বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বাড়িয়েছিল। যার জেরে আকাশ থেকেছে মেঘলা। স্তব্ধ হয়েছিল উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ। স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা ছিল বেশি। কিন্তু সেই বাধা কাটতেই বাংলায় ফিরছে শীত। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে পারদ পতন না হলেও আগামী কয়েক দিন বজায় থাকবে এই ঠান্ডা। আগামী সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। আর যে কারনে খড়গপুর মেদিনীপুর এবার বড়দিন থেকে বর্ষবরণ এবার কড়া শীতে আরও উপভোগ্য হতে চলেছে।