Saturday, July 27, 2024

Kharagpur Poll: খড়গপুরে প্রচার ফেলে দুয়ারে সরকারে জয়া পাল ! ফর্ম ফিলাপের সাথেই জমল আলাপচারিতাও

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার শুরু হয়েছে খড়গপুর পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জন্য চলছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। আর ভোট প্রচার ফেলে সেখানেই বসে পড়লেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী জয়া পাল। দিন ভর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালবাগিচা হাইস্কুলের সামনে একটি বেঞ্চি পেতে বসে পড়েছেন খড়গপুর পুরসভার এই প্রাক্তন কাউন্সিলর। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর কয়েকডজন মহিলা ও পুরুষ কর্মী। দুয়ারে সরকারে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লম্বা লাইনে ফর্ম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রচুর মানুষ। যাঁরা ফর্ম ভরতে পারছেননা তাঁদের ফর্ম নিজের হাতে ভরে দিচ্ছেন জয়া পাল নিজেই। সব মিলিয়ে অন্য রকম মেজাজে আজ ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

কিন্তু মাথার ওপর যেখানে ভোট সেখানে প্রচার ফেলে এখানে কেন? জবাবে জয়া বলেন, ” দেখুন একজন কাউন্সিলরের কাজই তো মানুষকে এই সব কাজ গুলো করতে সাহায্য করা। যিনি কাউন্সিলর হবেন তাঁকে সাধারণ মানুষের এই সব ছোটখাটো বিষয়গুলিকে দেখতে হবে। আমি যখন কাউন্সিলর ছিলাম তখন একটা নির্দিষ্ট সময় মানুষের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলাম এই কাজের জন্য। কারন অনেকেই এই ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননা। অনেকে আবার ভুল হয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে ফর্ম ফিলাপ করতে ভয় পান। আজ যখন এত মানুষ এসেছেন তখন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। তাই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চাইতে এই কাজটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। এতেই আমার প্রচার হয়ে যাচ্ছে। মানুষ আগেও জানতেন, এখনও জানলেন যে জয়া পাল শুধু কথার কথা বলেনা। সে জানে এবং কাজ করেও।”

এই ঘটনায় খুশি জয়া পালের কর্মীরাও। তাঁরা বলছেন ভোটের আগে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও হয়ে গেলে জয়া বৌদির। বাসন্তী বিশ্বাস নামে এক কর্মী জানালেন, ‘ দেখুন আমাদের এই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত। সুতরাং আমাদের মহিলা কাউন্সিলরই হবেন। বেশিরভাগ মহিলা কাউন্সিলর ওয়ার্ডে কাজের জন্য হয় তাঁদের স্বামী না হয় দলের ওপর নির্ভর করে থাকেন। আমাদের জয়া বৌদির সেই সমস্যা নেই তার প্রমান হয়ে গেল আজ। আজ সকাল থেকে বৌদি একাই কয়েকশ জনের ফর্ম ফিলাপ করে দিয়েছেন শুধু তাই নয়। কোথায় কী সমস্যা রয়েছে তাও আলোচনা করেছেন মানুষের সাথে। মানুষ খুবই খুশি বৌদির এই কাজে। শুধু ভোটের জন্য নয়, মানুষের জন্যও যে আমাদের প্রার্থী স্বার্থ ছাড়াও কাজ করেন তা প্রমাণিত হল।’

জয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে আসা মানুষজনও। তাঁরা বলছেন, সত্যি সত্যি ফর্ম ফিলাপ করতে আমাদের সমস্যা হয়। কাউকে খুঁজতে হয় ফর্ম ফিলাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য। আজ জয়া পালকে পেয়ে আমাদের খুব লাভই হয়েছে। ভোট, প্রচার এসব তো আছে, থাকবে। কিন্তু এই একটা দিন যে সেসব ফেলে জয়া পাল এখানে মানুষের কাজ করছেন তাকে প্রশংসা না করে পারা যায়না। রাজনীতির রঙ না দেখে, নিজের ওয়ার্ড, পরের ওয়ার্ড না দেখে যে তাঁর কাছে গেছেন সবারই ফর্ম ফিলাপ করে দিয়েছেন তিনি। এমন মানুষকেই তো আমরা কাউন্সিলর হিসাবে চাই।

- Advertisement -
Latest news
Related news