নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট ফুরিয়ে গেছে ৭ দিন, ফলাফল বেরিয়ে গেছে ৫ দিন আগে। কিন্তু শহরময় ছড়িয়ে রয়েছে ভোটের লাঞ্ছনা। পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার, কাট আউট। দেওয়াল জুড়ে এখনও জ্বল জ্বল করছে ভোট ভিক্ষের করুন আকুতি। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যা ছিল রাজনৈতিক দলগুলির কাছে অলঙ্কার এখন তাই-ই শহরের আবর্জনা। রাজনৈতিক দল, প্রার্থীরা যেন বেমালুম ভুলেই গেছে ওসবের কথা শুধু শহর বাসীর যন্ত্রনা হয়ে রয়ে গেছে ওই সব ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন, কাট আউট গুলি। কে সরাবে ওই জিনিস গুলি? ব্যতিক্রম একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গোবিন্দ দাস। কেবল তাঁকেই দেখা গেল নিজের সমর্থনে ওয়ার্ড জুড়ে দলীয় পতাকা,ফেস্টুন ব্যানার খুলে সরিয়ে নিতে।
রবিবার, ছুটির দিন এমনই দৃশ্য দেখলেন চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গোবিন্দ দাস ওয়ার্ডের বিভিন্ন অলি গলি বস্তি ও মহল্লা ঘুরে ঘুরে দলীয় পতাকা,ফেস্টুন ব্যানার খুলে ফেললেন নিজের হাতেই। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরাও। দাস ও তাঁর সহযোদ্ধারা মিলে পতাকা ফেস্টুন ব্যানার ইত্যাদি খুলে ট্রলিতে চাপিয়ে দলীয় কার্য্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি দেখার পর ভীষন খুশি স্থানীয় জনতা ও পথ চলতি মানুষজন। ফের ওয়ার্ডের সৌন্দর্য ফিরিয়ে এসে ঝকঝক করছে ৪নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, অলিগলি থেকে বিভিন্ন বাঁক-মোড়ও। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কথায় আছে “বাহান্ন রাজার তিপান্ন গলি তাকেই চন্দ্রকোনা বলি।” চন্দ্রকোনা শহর এমনিতেই খুবই পুরানো হওয়ায় বেশিরভাগ রাস্তাই খুবই সঙ্কীর্ণ ও অলিগলি, বাঁকমোড়ে ভরা। তার ওপর সমস্ত প্রার্থীর ব্যানার, ফেস্টুন রাস্তার পরিসরকে আরও ছোট করে দিয়েছিল। শহরের সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়েই ছিল তার সঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কাও ছিল।
গোবিন্দ দাস জানান,ভোটের স্বার্থে প্রচারের অংশ হিসাবে ওয়ার্ডে যে দলীয় পতাকা ফেস্টুন ব্যানার লাগানো হয়েছিল ওয়ার্ডের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দিতে সেগুলো খুলে ফেলা হল। একজন জন প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার কর্তব্য বলেই মনে করেছি। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন ওয়ার্ডকে সুন্দর ভাবে সাজাতে, মানুষের পরিষেবা প্রদান করতে। আমি ওয়ার্ডের আগের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে এটা করেছি। আমি এটাও মনে করি গোটা শহর জুড়েই সমস্ত প্রার্থী কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো সকলেরই করা উচিত। একটি ছোট পৌরসভার কাউন্সিলর যা করে দেখাতে পারেন তা খড়গপুর মেদিনীপুরের মত এগিয়ে থাকা বড় শহর গুলির কাউন্সিলর বা প্রার্থীরা করে দেখাতে পারেননি এখনও।