Saturday, July 27, 2024

Midnapore Protest :১৩ই ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সবং কলেজ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করতে চলেছে ভারত জাকাত

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরাসরি সংঘাতের পথে এবার আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহাল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ও অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করা হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপিকা পাপিয়া মান্ডির বিরুদ্ধে কলেজের এক অধ্যাপক জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার প্রতিবাদেই এই ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য একটি অনলাইন ক্লাশ চলাকালীন আদিবাসী বলতে কী বোঝায় তার উত্তর দিতে গিয়ে অধ্যাপিকা পাপিয়া মান্ডি যখন ছাত্রছাত্রীদের বলেছিলেন যে আদিম আদিবাসীদের আদিবাসী বলা হয় তখন নাকি অধ্যাপিকা মান্ডির সহকর্মী অধ্যাপক নির্মল বলেছিলেন, আদিবাসী বলতে বোঝায় যারা গাছের ডালে ঝুলে থাকত। বিষয়টি নিয়ে শেষ অবধি পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই অধ্যাপিকা।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের সবং পরগনার ‘মুলুক পারগনা বাবা’ বা ব্লক সভাপতি মিঠুন মুর্মু জানিয়েছেন, ‘ গত ১৯ অক্টোবর অধ্যাপিকা মান্ডি সবং থানায় ‘জাতি বিদ্বেষ ছড়ানো’র বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুনেছিলাম পুলিশের কোনও শীর্ষ আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন কিন্তু এক মাস অবধি তার কোনও হদিস আমরা পাইনি। বাধ্য হয়েই আমরা সবং কলেজ এবং একই সঙ্গে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি সবং কলেজের অধ্যাপক নির্মল বেরা এবং অধ্যক্ষ তপন দত্তকে গ্রেপ্তার ও বহিস্কার করতে হবে।’

গত ১৯শে নভেম্বর মেদিনীপুর শহরে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে মিঠুন মুর্মু বলেন, ‘ ওই সভায় ঠিক হয়েছে আগামী ১৩ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওই ঘেরাও কর্মসূচি কি ভাবে বাস্তবায়িত করা হবে তা বিস্তারিত কৌশল ঠিক করার জন্য আগামী ৩০শে নভেম্বর সবং থানার তেমাথানিতে একটি সশরীরে সভা আহ্বান করা হয়েছে যেখানে সবং ছাড়াও দুই দাসপুর, পিংলা, গড়বেতার ৩টি ব্লককের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে ১লা ডিসেম্বর আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রের সদস্যদের জন্য ‘গুগুল মিট’ মারফৎ অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মিঠুন মুর্মু আরও জানিয়েছেন, ‘ আদিবাসী হওয়ার কারনে একজন অধ্যাপিকাকে দিনের পর দিন মানসিকভাবে হেনস্থা করার পরও একজন অধ্যাপক পার পেয়ে গেছেন কারন তাঁর পক্ষে অধ্যক্ষ রয়েছে, পুলিশ প্রশাসন রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনও তাঁর পক্ষে রয়েছে। কলেজ, ইউজিসি, থানা কোনও স্তরেই সুবিচার পাননি ওই অধ্যাপিকা। একে আমরা সমস্ত আদিবাসী সমাজেরই অপমান বলে মনে করেছি। এই অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সংগঠন। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই থানা, মহকুমা শাসক, জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’

- Advertisement -
Latest news
Related news