Saturday, July 27, 2024

Ghatal: পশ্চিম মেদিনীপুরে পাড়ায় পাড়ায় চোলাই অসুর! দেবী পক্ষের তৃতীয়ার রতেই মাতালদের হাতে ধর্ষিতা অষ্টম শ্রেণীর দাসপুর কন্যাশ্রী

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষ পড়ে গেছে। মাকে বরনের জন্য তৈরী অনুঢ়া আর এয়োতিরা। তারই মধ্যে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি গ্রামে। তৃতীয়ার রাতে এক অনুঢ়া নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল দুই মাতাল যুবক। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় ম্লান হয়ে গেল ওই গ্রামের উৎসবের আনন্দ। পুলিশ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করলেও গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ যদি অনেক আগেই চোলাই কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তবে এই দুর্ভাগ্যের দিন দেখতে হতনা তাঁদের।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর বাবা নিজেও মদ্যপ আর মা মানসিক ভারসাম্যহীন সেই সুযোগই গ্রহণ করে দুষ্কৃতীরা। নাবালিকা মেয়েকে রাতের অন্ধকারে ফুসলে বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দাসপুর থানার নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনা। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে এক গোয়াল ঘরে দুই যুবক তাদের মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে।

নাবালিকার দাদু ও ঠাকুমা মঙ্গলবার রাতেই দাসপুর পুলিশে অভিযোগ জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু-সুরক্ষা আইন তথা পসকো ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে আজ তাদের ঘাটাল আদালতে তোলা হবে। গ্রেপ্তার দুই যুবকের নাম সাহেব সেনাপতি ও সরোজ বক্সী তাদের বাড়ি নাড়াজোল গ্রামে। পুলিশ সুত্রে খবর অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বড়দোলই পাড়ার ভেতরে রয়েছে এক চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে ওই দুই যুবক বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ওই নাবালিকাকে পেয়ে সামনের গোয়ালঘরর নিয়ে গিয়ে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ পারিবারিক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই পড়া চালিয়ে যাচ্ছে ওই কিশোরী। স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। কিন্তু এই ঘটনার পর তা সম্ভব হবে কী?

প্রতিবেশীদের আরও দাবী ওই চোলাই ঠেকের পাশাপাশি আরও অনেক চোলাই ঠেক গজিয়ে উঠেছে এলাকায়। এছাড়াও লুকিয়ে চুরিয়ে চোলাই মদ বিক্রি হয়। পুলিশ, আবগারি সবাই সব জানে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। এই চোলাই ঠেকের জন্য জীবন নরক হয়ে উঠেছে মানুষের। ঘরে ঘরে অশান্তি, ঝগড়া ঝাটি, মহিলারা মারধর খান। গোঁফ গজানোর আগেই ছেলেরা চোলাইয়ের কবলে পড়ছে। ঘরের ঘটি বাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পুরুষরা সারাদিনের উপার্জন মদের ঠেকেই উড়িয়ে দেয়। বাকি ছিল এই দিনটা দেখার। তাও দেখতে হল?

উল্লেখ্য এই দাসপুরেরই একটি গ্রাম ক’দিন আগেই তৈরি করেছে চোলাই মদ বিরোধী কমিটি। গ্রামে মদ নিষিদ্ধ করেছেন তাঁরা। গ্রামের মোড়ে মোড়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে জানিয়ে দিয়েছে এলাকায় কেউ মদ বিক্রি করলে ১০০০১ টাকা এবং কিনলে ৫০০১ টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাঁরাও জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর ভরসা হারিয়েই এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে তাঁদের। মানুষের প্রশ্ন এই কাজ কাদের করার কথা? যে কিশোরী তার লজ্জ্বা হারালো তা কি শুধু তারই লজ্জ্বা প্রশাসনের নয়? চোলাই অসুরদের দাপট আর কতদিন সহ্য করতে হবে?

- Advertisement -
Latest news
Related news