নিজস্ব সংবাদদাতা: স্ত্রীর অসুখ সারানোর নাম করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই সেই কান্ড মোবাইলে ভিডিও করারও অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে এমনই পৈশাচিক কান্ড ঘটিয়েছেন খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার গোকুলপুর এলাকার এক ব্যক্তি। শনিবার দুপুরে খড়গপুর গ্রামীণ থানায় এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই সন্তানের জননী। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের একটি মামলাও দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ও ধৃত স্বামীর নাম রমজান আলি। তবে এই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত স্বামীর বন্ধু পেশায় রাজমিস্ত্রি সেখ ইমরান খান পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গৃহবধূর অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে তাঁর শরীর খারাপ যাচ্ছিল। এটা জানার পর শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী চারটি ট্যাবলেট খেতে দেন। স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, ওই ওষুধ গুলি খেলে ভালো হয়ে যাবে। পাশাপাশি ওই সময় দুই পুত্র সন্তানকেও একটি টনিক খাওয়ান রমজান।
স্ত্রীর অভিযোগ, সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার দিকে একজন পরপুরুষ তাঁর বিছানায় উঠে পড়েন। ঘুমের মধ্যে তিনি বুঝতে পারেন এই ব্যাক্তি তাঁর স্বামী নয়। তারপরেও জোরজবরদস্তি করা হয়। আর তখনই ঘুম থেকে কোনোক্রমে উঠে সেই ব্যাক্তিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী সেই ব্যাক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালায়। ঘটনার সময় স্বামী রমজান মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছেন বলে গৃহবধূর অভিযোগ।
ওই গৃহবধূর পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, তাঁর চরিত্র হনন করে বদনাম দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়ানোর লক্ষ্যে স্বামী এই কাজটি করেছেন। ওই গৃহবধূর বাবা আসরাফ আলি শায়ের অভিযোগ, ইতিপূর্বেও তাঁর মেয়ের ওপর নির্যাতন হয়েছে। মেয়ের স্বামী সবজি বিক্রেতা রমজান এবং তার মা ও বোন অর্থাৎ গৃহবধূর শাশুড়ি ও ননদ তাঁকে মারধরও করেছেন। ২০১৭ সালে এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তাঁরা। আসরাফ আলীর বক্তব্য, সেই সময় পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করা হয় এবং চাপে পড়েই তাঁর মেয়ে কে নিয়ে ফের সংসার করতে শুরু করে জামাই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাঁর মেয়েকে তাড়ানোর একটা পরিকল্পনা চলছিল। শুক্রবারই ফাঁদ পেতে সেটাই করার চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্তর তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।