নিজস্ব সংবাদদাতা: দাদার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে বৌদির সঙ্গে গড়ে উঠেছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় আত্মীয়স্বজনের কাছে চাপের মুখে পড়ছিলেন ওই গৃহবধূ। তাই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। আর সেই কারণেই বৌদিকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠল কলেজ পড়ুয়া দেওরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে নিহত বধূর দাদা। আর তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে দেওরকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কাঁথি থানার অ্যাড়াফতেপুরের রহমত আলি শাহা কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাঁথি আদালত। এরপরই অভিযুক্তকে নিজস্ব হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। পাশাপাশি অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার জন্য। কাঁথি মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১০ আগস্ট নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ২২ বছরের ওই গৃহবধূর দেহ। ওড়নার এক প্রান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন তিনি। যেহেতু মামলাটি স্পর্শকাতর তাই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় মৃতদেহ। রুজু করা হয় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।
ঘটনার দুদিন পরে ১২ আগস্ট নিহত বধূর দাদা এগরায় বাসিন্দা ওয়াজেত আলি খান কাঁথি থানায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ লেখান রহমতের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, আত্মহত্যা নয়, তাঁর বোনকে ধর্ষণ করার পর মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা করেছে ওই দেওর। এরপরই তদন্তে নেমে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃতার স্বামী কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন।দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন বধূ। স্বামীর অবর্তমানে দেওর রহমতের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। কিছুদিন হল বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন ওই গৃহবধূ। তাই নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়। আর তারপরই ঘটে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনার খবর পেয়ে দুবাই থেকে ফিরে এসেছেন গৃহবধূর স্বামী।