Saturday, July 27, 2024

Ghatal: বাঁকুড়ায় বৃষ্টি, নিমেষে জল বাড়ল শিলাবতীতে, তলিয়ে গেলেন কৃষক! ১২ ঘন্টা পর দেহ উদ্ধার করলেন সিভিল ডিফেন্সের জওয়ানরা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘন্টা খানেক আগেই সাঁতরে নদী পার হয়েছিলেন ও পাশে থাকা জমি থেকে বীজতলা আনার জন্য। বুঝতেই পারেননি যে তারই মধ্যে নদীতে জল বেড়েছে এতটা! স্ত্রীও নিষেধ করেছিলেন কিন্তু সেই নিষেধ অগ্রাহ্য করেই এপারে আসার জন্য ফের নদীতে নেমে সাঁতার দিতে গিয়েই ঘূর্ণিপাকে পড়ে তলিয়ে গেলেন কৃষক। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনেহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রামে। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। ১২ ঘন্টা বাদে আজ, শনিবার ওই কৃষকের দেহ উদ্ধার করলেন সিভিল ডিফেন্সের জওয়ানরা।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে খাঁপুরের বাসিন্দা কৃষক কাশীনাথ বধূক(৫৫) নামের ওই কৃষক নদীর অপর প্রান্ত হীরাধরপুর থেকে বীজতলা সংগ্ৰহ করে এপারে আনার জন্য শিলাবতী সাঁতরে ওপারে যান। এ পাড়ে তাঁকে সাহায্য করার জন্য থেকে যান ,কাশীনাথের স্ত্রী চাঁপা বধূক। কাশীনাথ যখন ফের এপারে আসার জন্য নদীতে নামতে যান তখন এপার থেকেই চাঁপা তাঁকে জানান নদীতে জল বেড়েছে। স্বামী যেন সাঁতার না দিয়ে একটু দূরে যেখানে খেয়া পারাপারের জন্য নৌকা আছে সেখানে চলে যান। কিন্তু কাশীনাথ খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি সাঁতার দিয়েই নদী পার হতে পারবেন। স্ত্রীর নিষেধ না মেনেই নদীতে নেমে পড়েন। বেশকিছুটা সাঁতরে চলেও আসেন।কিন্তু তারপরই তিনি পড়ে যান নদীর মারাত্মক ঘূর্ণি স্রোতের মধ্যে। ঘূর্ণি ক্রমাগত তাঁকে পাক আর মোচড় দিয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। স্ত্রী চম্পা বিপদ বুঝতে পেরে চিৎকার করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

শুক্রবার দিনের অবশিষ্ট কাল নানাভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয় কাশীনাথকে। স্থানীয়রা জাল ফেলে খোঁজ চালায় কিন্তু লাভ হয়নি। খবর পেয়ে শুক্রবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর কিছুই করার ছিলনা। শনিবার ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ ও ব্লকের বিডিওর তৎপরতায় সকাল থেকে খড়গপুর থেকে সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম আনিয়ে স্পিডবোট দিয়ে নদীতে খোঁজ চালানো হয়।প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়,এদিন সকাল থেকে খোঁজ চলে তার কিছু পরেই খাঁপুর গ্রামেই নদী থেকে উদ্ধার হয় কাশীনাথ বধূকের দেহ তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বাঁকুড়া সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। উচ্চ অববাহিকার সমস্ত জল নামছে শিলাবতী দিয়েই ফলে নদীতে জলের পরিমান ও স্রোতের প্রাবল্য দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময় সাঁতরে নদী পারাপারের ঝুঁকি না নেওয়াই উচিৎ।

- Advertisement -
Latest news
Related news