![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/Screenshot_20220412-000015_Photo-Editor.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত নলিনী বেরা বললেন, আমার জীবনে দেখা যে দু’একজন মানুষকে আমি সামনের সারিতে রাখি তাঁর একজনের নাম লক্ষণ শেঠ। কবি ও চিত্রকর শ্যামল জানা বললেন, আমি যখন ছোট করে কোনও উদ্যোগ নিতে গিয়ে সমস্যায় আটকে যাই তখন লক্ষণ শেঠের কথা ভাবি, কারন মানুষটা কখনও ছোট করে কিছু ভাবেননি।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/20220411_171330.jpg)
সবটাই বড় করে ভেবেছেন এবং তা বাস্তবায়িত করেই ছেড়েছেন। আমি সেই ছোট কাজে আটকে গিয়ে এই ভেবে অনুপ্রেরণা পাই যে, লক্ষণদা যদি অত বড় বড় কাজ করতে পারেন, তা’হলে আমি পারবনা কেন? ইংলিশ চ্যানেলের সাথে সাতসাতটি সমুদ্র জয় করা সাঁতারু, অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত বুলা চৌধুরী বললেন, আমার প্রতিটি সমুদ্র জয়ের পেছনে যে মানুষটির একমাত্র অবদান রয়েছে তাঁর নাম লক্ষণ শেঠ। সোমবার, ১১ই এপ্রিল ২০২২, পশ্চিম বাংলার প্রথম বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (HIT) প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংস্থার চেয়ারম্যান প্রাক্তন সাংসদ ডঃ লক্ষণ চন্দ্র শেঠের জন্মদিনে এভাবেই তাঁর মূল্যায়ন করলেন লেখক শিল্পী ক্রীড়াজগতের ব্যক্তিত্বরা।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/Screenshot_20220411-234430_Gallery.jpg)
এ তো গেল কলকাতার কথা। এদিন তাঁকে সম্বর্ধিত করতে এসেছিলেন যে কয়েক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তাঁদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিলেন কর্ণাটক থেকে আসা বেশ কয়েকজন শিক্ষা ব্যক্তিত্ব। এঁদের মধ্যে ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর টুমকুর ইউনিভার্সিটি (Tumkur University Bangaluru) রেজিস্টার ডঃ কে. শিবাচিত্থাপা(Dr. K Shivachithappa), রেজিস্টার, মূল্যায়ন (Registrar Evaluation) প্রফেসর নির্মল রাজু (Prof.Nirmal Raju) এবং একজন সহকারী রেজিস্টার সহ একটি শিক্ষাবিদ দল।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/20220411_161233-scaled.jpg)
মালায়লম সংস্কৃতি অনুযায়ী মালা ও তাজ পরিয়ে তাঁরা সম্বর্ধনা জানান লক্ষণ শেঠকে। ডঃ কে. শিবাচিত্থাপা বলেন, কর্মবীর ডঃ লক্ষণ শেঠের কীর্তি যেন রামায়ণের দেবতা লক্ষনের (Lord Laxmana) মতই। রামায়ণের গোটা পর্বে দেব লক্ষণ একজন কর্মযোগী, যিনি শুধুই কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে। প্রাক্তন বিচারপতি জাস্টিস তইফুদ্দিন শ্রী শেঠকে বলেছেন জীবন্ত কিংবদন্তি পুরুষ।
আধুনিক হলদিয়ার রূপকার, হলদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে প্রায় ২০টি নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনক ডঃ লক্ষণ শেঠকে একজন কর্মবীর হিসাবে উল্লেখ করেছেন বাংলার আরও এক শিল্প ও শিক্ষা জগতের কর্ণধার জিআইএস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তরনজিৎ সিং।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/20220411_161522-scaled.jpg)
বাংলা তথা দেশজুড়ে শিক্ষা ও শিল্পে একাধিক সম্মানে সম্মানিত জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (JIS University) সর্দার তরনজিৎ সিং এই অনুষ্ঠানে বলেছেন, লক্ষণ শেঠ কোনো ব্যক্তির নাম নয়, লক্ষণ শেঠ একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। না, এঁরা কেউই লক্ষণ শেঠের একদিন বা একবছরের পরিচিত নন। কেউ লক্ষণ শেঠকে দেখেছেন গত ৩০ বছর ধরে কেউবা তারও বেশি।
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর আ্যডভান্স রিসার্চ এন্ড এডুকেশন Indian Centre for Advancement of Research and Education (ICARE) হলদিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহতি অনুষ্ঠানে সমাজের বিশিষ্ট মানুষ থেকে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষাবিদ লক্ষণচন্দ্র শেঠকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন কয়েক ডজন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক মঞ্চের মানুষজন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/Screenshot_20220411-235229_Photo-Editor.jpg)
টানা পৌনে দুঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ডঃ শেঠকে পুষ্পস্তবক ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়ে প্রায় ৭হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/20220411_151746-scaled.jpg)
অনুষ্ঠানের শুরুতেই হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (Haldia Institue of Technology) আইডিয়া ল্যাব এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Maulana Abul Kalam Azad University of Technology, West Bengal) উপাচার্য ডঃ অধ্যাপক সৈকত মিত্র।