Saturday, July 27, 2024

Haldia: ভোর রাতে আগুন বন্দর শহরে! পুড়ে ছাই মুদি দোকান,আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আরও দুটি দোকান

- Advertisement -spot_imgspot_img

রাজেশ শাসমল: বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বন্দর শহর হলদিয়ার একটি বহু বিক্রীত মুদি দোকানের সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী এবং আসবাবপত্র। ওই আগুন থেকে আগুন ছড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী আরও ২টি দোকান। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিছু পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। তারপরই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও স্থানীয় কিছু বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন খবর পাওয়ার বেশ কিছুটা পরে এসেছে দমকল। সময়মত দমকল এসে পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা রোধ করা সম্ভব হত। দমকল কর্মীরা অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, খবর পাওয়ার পর যতটা দ্রুত সম্ভব এসে পৌঁছেছেন তাঁরা। বরং তাঁদের অনুমান আগুন লাগার অনেক পরেই খবর পেয়েছেন তাঁরা।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

জানা গেছে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর বালারমোড় এলাকায়। এই মোড়েই রয়েছে পাশাপাশি বেশকিছু দোকান। এই দোকান সারির মধ্যেই রয়েছে নন্দ মন্ডলের মুদি দোকান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর চারটা নাগাদ কয়েক জনের নজরে পড়ে যে নন্দ মন্ডলের দোকানের ওপর লকলকিয়ে আগুনের শিখা উঠছে। সাথে সাথেই তাঁরা ফোন করে খবর দেন নন্দ মন্ডলকে। নন্দ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখার পরই দমকলে খবর দেন। নন্দর পরিবারের অভিযোগ অনেকবার ফোন করার পর ফোন ধরেছিল দমকল কর্মীদের কেউ। তারও অনেক পরে এসে পৌঁছায় দমকল। ততক্ষনে স্থানীয়রা গামলা ও বালতি ইত্যাদি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল। ততক্ষনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের মাংস ও চালের দোকানে। বেশ কিছুক্ষণ পরে এসে পৌঁছায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নন্দ মন্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রায় ১০লক্ষ টাকার মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকানটির আসবাবপত্র ও কাঠামোর। পাশের দুটি দোকানও অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে। যদিও আগুনের সঠিক কারন এখনও জানা যায়নি তবে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে। দোকানে বিদ্যুৎ ওয়ারিংয়ের তার পুরানো ছিল অথবা আলগা কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান তখন দোকানের উপরিভাগে আগুনের শিখা ১৫ থেকে ২০ফুট অবধি উঠছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আগুন লেগেছিল মানুষের নজরে আসার কয়েকঘন্টা আগে। ভোর রাতে আগুন নজরে এলেও তা সম্ভবতঃ ভেতরে লেগেছিল মধ্যরাতে। ততক্ষনে ভেতরের সমস্ত কিছু পুড়ে গেছিল। দোকানের বাইরে যে আগুন ছিল তা দোকানের কাঠামোর অংশের। দমকল কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, দোকানে মজুত প্রচুর পরিমানে ভোজ্য তেল ও অন্যান্য সামগ্রী দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে। ঘটনায় দুটি তদন্ত শুরু করেছে দমকল ও পুলিশ।

- Advertisement -
Latest news
Related news