Saturday, July 27, 2024

Midnapore Dwory Death: পশ্চিম মেদিনীপুরে পনের বলি ৭ মাসের বিবাহিতা ১৯ বছরের গৃহবধূ! খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, পলাতক স্বামী,শ্বশুর-শাশুড়ি

It was only had been married for 7months! The housewife in the village of Basutia under Belda police station in West Midnapore allegedly hanged after her beaten by inlaws. Police said the housewife's name was Jaba Das. In July 2021, the 19-year-old Jabar was married to the Kedar Pradhan of Basutia village. Jaba's father Ashok Das alleged that at the time of the marriage, Kedar had given the girl 3 loads of jewelery in addition to Tk 74,000 in cash to buy a motorbike. Also provided were couches, dressing tables, racks, utensils and other items. But even then, Kedar and his parents continued to torture her physically and mentally. Later on Saturday, her husband and mother-in-law killed Jaba and hanged her.

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ৭ মাস হল বিয়ে হয়েছিল আর তারই মধ্যে এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অন্তর্গত বাসুটিয়া গ্রাম। পুলিশ জানিয়েছে ওই গৃহবধূর নাম জবা দাস। ২০২১ সালের জুলাই মাসে মাত্র ১৯ বছর বয়সী জবার সাথে বিয়ে হয়েছিল বাসুটিয়া গ্রামের কেদার প্রধানের। জবার বাবা অশোক দাস অভিযোগ করেছেন, বিয়ের সময় কেদারকে একটি মোটরবাইক কেনার জন্য ৮৪হাজার টাকা নগদ ছাড়াও মেয়েকে ৩ ভরি গহনা দিয়েছিলেন তাঁরা পাত্রপক্ষের দাবি মেনেই। এছাড়াও দেওয়া হয়েছিল পালঙ্ক, ড্রেসিং টেবিল, আলনা, বাসনপত্র সহ নানা দ্রব্য সামগ্রীও। কিন্তু তারপরও তারপরও মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত কেদার এবং তার বাবা-মা। এরপর শনিবার জবাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

জবার বাবা অশোক দাস বলেন, ‘ বিয়ের এক মাস পর থেকেই অত্যাচার শুরু হয়েছিল। ওরা বারবার আমার মেয়েকে বলত, নিম্নমানের দ্রব্যসামগ্রী দিয়েছে তোর বাবা। এগুলো সব বদলে আন। আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলেই ওর স্বামী এমনকি শ্বশুর শাশুড়ি মারধর করত। অত্যাচার চরমে উঠেছিল। অনেক সময় খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গেলে আমার সামনেই মেয়েকে মারতে উঠত ওরা। অশোক দাস এও অভিযোগ করেছেন, দিনের পর দিন জবাকে খেতে দেওয়া হতনা, অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হতনা।

পঁচাশবেটিয়া গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহকর্তা অশোক দাস বলেন, আমার একমাত্র মেয়ের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে জেনে ২রা ফেব্রুয়ারি আমি মেয়ের বাড়ি যাই। ওরা আমার কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমার দুরাবস্থার কথা জানাই জামাই ও তাঁর বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনকে। তখনও আমার সামনেই জামাই ও তার বাবা মা জবাকে অশ্লীল গালাগালি করছিল, এমনকি আমার সামনেই মেয়েকে মারতে উদ্যত হয়। আমি কোনও রকম তাঁদের বুঝিয়ে আসি। সবার হাতে ধরে মিনতি করে আসি মেয়ের ওপর অত্যাচার না করার জন্য। এরপর ৫ই ফেব্রুয়ারি বাসুটিয়া গ্রামে আমার মেয়ের বাড়ির এক প্রতিবেশীর ফোন পাই। উনি বলেন আমার মেয়ে অসুস্থ। সাথে সাথেই আমার স্ত্রীকে নিয়ে ছুটে আসি। আর এসেই দেখি আমার মেয়েকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। সে মৃত।

অশোক দাসের অভিযোগ ওই ৫০হাজার টাকার জন্যই ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তারপর ওরাই তাকে নামিয়ে এনে শুইয়ে দেয়। অশোক দাস জবার স্বামী কেদার প্রধান ছাড়াও কেদারের বাবা ও মা শঙ্কর ও চম্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ৩ জনই পলাতক বলে জানা গেছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news