নিজস্ব সংবাদদাতা : সমুদ্রের গ্রাস থেকে রক্ষা পেলেও রেহাই মিলল না পুলিশের হাত থেকে। সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া থেকে নুলিয়া ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীরা এক পর্যটককে উদ্ধার করলেও পুলিশ গ্রেফতার করল এক পর্যটককে। শনিবার দিঘা পুলিশের এই গ্রেফতার সম্ভবতঃ এই প্রথম গ্রেফতার পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর সমুদ্রের দিকে যাওয়ার জন্য। কারন এর আগে পুলিশ চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে কিংবা কিছুক্ষনের জন্য থানায় আটকে রেখে ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু গ্রেফতারের ঘটনা আগে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেননা দিঘা পুলিশের কর্মরত পুলিশ কর্মীরা।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড দিঘার ১ নম্বর ঘাটে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হচ্ছে দিঘায়। এই ভিড় সামলানোর জন্য শহর জুড়ে যেমন দিঘা পুলিশকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তেমনি পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের দিকে নজর রাখতে হচ্ছে নুলিয়া এবং সিভিল ডিফেন্স বা অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। পুলিশের তরফে পর্যটকদের বারংবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে কোমর জলের ওপরে কেউ যেন না সমুদ্রে না নামেন। বিশেষ করে জোয়ারের সময়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এক পর্যটক নেমে যেতে থাকেন বিপজ্জনক গভীরতায়। মুহূর্তেই জোয়ারের জলে ভেসে যান তিনি। হাবুডুবু খেতে থাকেন। বিষয়টি নজরে পড়তেই প্রাণ বাজি রেখে নুলিয়া ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার খবর পেয়েই পৌঁছে যায় দিঘা পুলিশ। সমস্ত ঘটনা শোনার পরই রাহান মোল্লা নামক ২২ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার হাড়োয়া থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। দিঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, ‘ জোয়ারের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই যুবক কোমর জলের নিচে নেমে যায়। পরে আরও গভীরে চলে যায়। সেখান থেকে কোনওভাবেই ফিরে আসতে পারছিল না সে। হাবুডুব খেতে দেখে নুলিয়া ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’