Saturday, July 27, 2024

Digha: দিঘায় ১৫০টি মাছ বিক্রি হল কোটি টাকা ছাড়িয়ে ! সর্বকালের নজির ছড়িয়ে রেকর্ড করল মোহনা বাজার

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এ যাবৎকালের সমস্ত নজির ভেঙে ফেলল এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মৎস নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহানা বাজার। এক মৎস ব্যবসায়ী মাত্র ১২১টি মাছ থেকেই আয় করলেন ৮৪লক্ষ ২৯হাজার ৫০টাকা! গত কয়েক দশক কেন কোনও দিনই এত দামের মাছ বিক্রি করেনি দিঘা। আর যদি পরপর দু’দিনের রেকর্ড ধরা যায় তবে এই বিক্রির পরিমান কোটি ছাড়িয়ে গেছে শুধু তেলিয়া ভোলা মাছের দৌলতেই। দিঘা ফিসার ম্যান ও ফিস ট্রেডার্স আ্যশোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, ‘আমার গত ৪০বছরের ব্যবসায়িক জীবনে মাত্র ১২১টি মাছ বিক্রী করে ৮৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার ঘটনা দেখিনি। এই হচ্ছে মৎসজীবীদের জীবন। এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সমুদ্রে লটারি কাটেন মৎসজীবীরা। সেই লটারি না লাগলে ফতুর আর লাগলে এমনই হয়।’

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

জানা গেছে দিঘা থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া রামনগরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন খাঁড়ার ‘মা বিশ্বেশ্বরী’ ট্রলারের মাঝিরা এই রত্নভান্ডার তুলে এনেছেন। পাওয়া গেছে মোট ১২১টি তেলিয়া ভোলা মাছ যার মধ্যে ৫৪টির ওজন হয়েছে ৯৩২কেজি। আকারে বড় হওয়ায় নিলামে এই মাছগুলির কেজি প্রতি দাম উঠেছে ৬৭৫০ টাকা যা সব মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬২লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। অন্যদিকে আকারে একটু ছোট ৬৭টি মাছের ওজন ছিল ৭০১কেজি। যার দাম পাওয়া গেছে কেজি প্রতি ৩০৫০টাকা করে যা বিক্রি করে আয় হয়েছে ২১লক্ষ ৩৮হাজার ৫০টাকা। শনিবার দিঘার মোহনা বাজারের মৎস বিক্রেতা কার্তিক বেরার আড়তে নিলাম হয়েছিল মাছগুলি। নিলামে ৫৪টি মাছ কিনে নিয়েছে কলকাতার এসএফটি সংস্থা। বাকি মাছ কিনেছে কলকাতারই কেএমপি সংস্থা।

উল্লেখ্য শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারের এক ট্রলার মালিক ৩৩টি তেলিয়া ভোলা দিঘা মোহনায় নিয়ে এসেছিলেন নিলামে তোলার জন্য। ওই মাছের ওজন ছিল ৬১২ কেজি। মাছগুলি নিলাম হয়েছিল গৌতম দাসের আড়তে। প্রতি কেজি ৫ হাজার টাকা দরে মোট ৩০ লক্ষ ৬০ হাজারে মাছগুলি কিনে নেয় এসএফটি সংস্থা। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় দিঘা মোহনা বাজারে শুধু ১৫৪টি তেলিয়া ভোলা থেকেই লেনদেন হয়েছে ১কোটি ১৫লক্ষ টাকা! এও একটি রেকর্ড দিঘা মৎসনিলাম কেন্দ্রের।

উল্লেখ্য বিশ্ববাজারে তেলিয়া ভোলার কদর মানুষের খাদ্য হিসেবে নয়, জীবনদায়ী ওষুধের ধারক হিসাবে। এর পটকা বা অন্ত্র থেকে পাওয়া সূক্ষ্ম, স্বচ্ছ ও মানুষের পাচক রসে সহজ দ্রবণীয় আবরনের খোলের ভেতর ওষুধি রসায়ন ভরে তৈরি হয় জীবনদায়ী ওষুধ। জাপান ইত্যাদি দূর প্রাচ্যে তাই কদর এই অন্ত্রের। মাছের আয়তন ও লিঙ্গ বিশেষে এই অন্ত্র ছোটবড় হয়ে থাকে। পুরুষ তেলিয়া ভোলার অন্ত্র বড় হয় বলেই সম আয়তন ও ওজনের স্ত্রী মাছের চাইতে পুরুষ মাছের কেজি প্রতি দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। কোটি টাকার মাছ থেকে পাওয়া অন্ত্র প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রী হবে বৈদেশিক মুদ্রায়।

- Advertisement -
Latest news
Related news