নিজস্ব সংবাদদাতা: নেহাতই বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার যুবক। সেকেন্ডের হের ফের,নচেৎ পুড়ে যেতে পারত যুবকের চোখ, কান। শুক্রবার সকালে একজনের কথা বলেছিলেন ঘটনার ২মিনিট আগেই। ২মিনিট পরে আরেকজনকে ফোন করতে গিয়ে তাঁর নাম সার্চ করছিলেন ফোনে তখুনি একটা শব্দ করে জ্বলে ওঠে রেডমি এমআই নোট ফোর (Redmi Mi 4) ফোনটি। আতঙ্কে হাত থেকে ফোনটা ফেলে দিয়েছিলেন যুবক কিন্তু মাটিতে পড়েও দাউ দাউ করতে জ্বলতে থাকে ফোনটি। আতঙ্কে আশেপাশে থাকা লোকজন ছুটে পালায়। পরে জল ঢেলে নেভাতে হয় আগুন। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ এমনই ঘটনার স্বাক্ষী রইলেন কেশপুর থানার মুগবসান বাজার এলাকার লোকজন।
জানা গেছে যুবকের নাম আবদুল শফি। বছর পঁয়ত্রিশের আবদুলের বাড়ি মুগবসান এলাকাতেই। ১০০দিনের কাজের সুপারভাইজারি করেন তিনি। শফি জানান, “সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুগবসান বাজারে এসেছিলাম। প্রতিদিনই বাজারে এসে দিনের কাজকর্মের পরিকল্পনা ছকে নেই আমি। কারন এখানে অনেককে পাওয়া যায়। একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সকাল ৯ টা নাগাদ কাজের পেশাগত কারণেই ফোন করতে হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পর ফোনটি প্যান্টের পকেটে রেখে দেই। পরে আরেকজনকে ফোন করার দরকার হওয়ায় পকেট থেকে ফোন বের করে পাসওয়ার্ড ওপেন করে তাঁর নামটা খুঁজছিলাম। হঠাৎই ফট করে একটা শব্দ হয় এবং ফোনটিতে আগুন লেগে যায়। আমি ভয়ে হাত থেকে ফোনটি মেঝেতে ফেলে দেই। কিন্তু মাটিতে পড়তেই সেটা যেন তারাবাজির মত আরও জ্বলতে থাকে। দোকানে থাকা লোকজন প্রাণভয়ে দৌড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর দোকানে থাকা একটা মগ থেকে জল নিয়ে ঢেলে নেভানো হয় ফোনটি। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে কাঠ কয়লার আকার নিয়েছে।”
শফি জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে অন-লাইনে ফোনটি কিনেছিলেন ১১হাজার টাকা দিয়ে। শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে ৬টা অবধি ফোনটি চার্জ দেওয়া অবস্থায় ছিল এবং দুর্ঘটনা ঘটার সময় প্রায় নব্বই শতাংশ চার্জ ছিল ফোনটিতে। আতঙ্কের ঘোর কাটছেনা শফির। বলছেন, ‘ যদি ঘটনাটি ২মিনিট আগে আমার কথা বলার সময় কিংবা যে কলটা করার জন্য কলার লিস্ট সার্চ করছিলাম সেই কলটা করার সময় ঘটত তাহলে নিশ্চিত ভাবেই আমার বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেত কারন আমি হেডফোন করিনা। আর পাঁচজনের মতই কানে ফোন লাগিয়ে কথা বলি। ফলে আমার কান, চোখ পুড়ে যেতে পারত।” বিষয়টি নিয়ে রেডমি কোম্পানির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন শফি। শফির বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ম্যানুফেকচারিং গাফিলতি। এই ঘটনা আরও অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। বড়সড় বিপদ হতে পারে। আমি ২মিনিটের এদিক ওদিক বেঁচে গিয়েছি, সবাই নাও বাঁচতে পারেন।