নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গা পূজা, কালী পূজার পর ছট পূজা। বাঙালির তেরো পার্বন চুকিয়ে অবাঙালি সমাজের আদরের উৎসব। এ রাজ্যের সরকার আর শাসকদল ঠিক করে নিয়েছে সব উৎসবেই দখলদারি কায়েম করতে হবে। আর সেই মত সাহায্য কিংবা সহযোগিতা করার অছিলায় সর্বত্রই শাসক দলের দাপাদাপি। ছট অবাঙালি সমাজের হলেও ভোটের গায়ে তো বাঙালি অবাঙালি লেখা থাকেনা তাই ছট পূজাতেও ভোট পূজোর ছবি দেখল বাংলা। পশ্চিম বাংলায় যেখানে যেখানে ছট পূজার উদ্দেশ্যে ভিড় জমে সেখানে সেখানেই ভিড় করেছেন শাসকদলের নেতারা। দক্ষিণবঙ্গের খড়গপু্র মেদিনীপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। একেবারে মঞ্চ বেঁধে ছট ভক্তদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির সরকার ও শাসক। আর তেমনই এক ভিড়ে ঠাসা মঞ্চ ভেঙে পড়ে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া কাঁসাই নদীর ঘাটে আহত হলেন দুই পুণ্যার্থী।
জানা গেছে মেদিনীপুর শহরের ডিএভি স্কুল লাগোয়া কাঁসাই নদীর ঘাটে এবার পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে মঞ্চ তৈরি করেছিল মেদিনীপুর পুরসভা। শেষ বিকেলে অস্তগামী সূর্যের উদ্দেশ্যে তখন প্রণাম নিবেদন করছিলেন ভক্তরা। মঞ্চে উপস্থিত মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান, জেলা শাসক আয়েশা রানী, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, মেদিনীপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের বিধায়ক জুন মালিয়া, বিভিন্ন কাউন্সিলর ও শাসকদলের নেতা কর্মীরা। জেলাশাসক আয়েশা রানী বক্তব্য রেখে নিজের আসনে বসার পরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মঞ্চ ক্রমশঃ পিছন দিকে বসতে শুরু করে এবং ওপরের চাঁদোয়া সমেত মঞ্চ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষনিক তৎপরতায় মঞ্চ থেকে বিশিষ্ট অতিথিদের উদ্ধার করেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের দেহরক্ষীরা। এক মহিলা সমেত দুজনকে নিচে পড়ে কাতরাতে দেখা যায়। তাঁদেরও উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেছেন, মঞ্চের পেছনের অংশ নরম মাটিতে বসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিনি এও বলেন যে মঞ্চে এত মানুষ না ওঠাই উচিৎ ছিল। মঞ্চ নির্মানে ছিলেন এমন এক কর্মী জানিয়েছেন, যেভাবে মঞ্চটি নির্মাণ করা হয়েছিল তাতে ১৫/২০ জন অনায়াসে থাকতে পারে। ঘটনার সময় আমি ছিলামনা তবে শুনেছি এতজন মঞ্চে উঠেছিলেন যে জায়গা ছিলনা। ঘটনার সময় বিশেষ অতিথিরা যখন শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছিলেন জনতার উদ্দেশ্যে তখন মঞ্চে থাকা একটি বড় অংশ সামনের অংশ ছেড়ে ডায়াসের পেছন দিকে চলে আসেন। তারপরই এই ঘটনা ঘটে যায়।