শশাঙ্ক প্রধান: নির্বাচনোত্তর হিংসায় ৩ তৃনমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই(CBI)। সোমবার রাতে খড়গপুর শহর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/02/20220208_162619.jpg)
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ২রা মে বিধান সভা নির্বাচন ফল ঘোষণা হয়। তার ২দিনের মাথাতেই খুন হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার মার্কন্ডচকের বাসিন্দা তথা এলাকার শক্তি প্রমুখ বিশ্বজিৎ মহেশ। সেই ঘটনার জেরেই এই গ্রেফতার বলে জানা গেছে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে ধৃতরা হলেন, বিমান মহেশ, শিবানী মহেশ এবং শুভজিৎ মহেশ। ঘটনায় আরও ১জন ফেরার আছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় তৃনমূলের দিকে আঙুল উঠলেও তৃনমুল এই ঘটনাকে পারিবারিক হিংসা বলেই জানিয়েছিল। এটা ঘটনা যে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নিহত বিজেপি নেতার দাদা, ভাই এবং বৌদী। কিন্তু এটাও ঘটনা যে ধৃতরা কট্টর তৃনমূল সমর্থক কর্মী এবং সমর্থক। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থাকলেও তৃনমূল জয়ী হওয়ায় শাসকদলের সহযোগিতা পাওয়া যাবে এই প্রত্যাশা থেকেই বিশ্বজিৎকে মারন আক্রমন করার সাহস দেখিয়েছিল অভিযুক্তরা।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/02/IMG-20220208-WA0035.jpg)
ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলায় বাজার থেকে ফিরছিলেন বিশ্বজিৎ। বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দুরে একটি কর্দমাক্ত রাস্তায় ওই বিজেপি নেতা যখন সাইকেল ঠেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তখন কুড়াল, কাটারি ইত্যাদি নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আততায়ীরা। কোপের কোপ মারা হয় মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সবংয়ের এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ‘এরপরও দিনের পর দিন অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছে আর এলাকার তৃনমূল নেতাদের রক্তচোখ সহ্য করতে হয়েছে পরিবারকে। এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিশ্বজিৎ খুনের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, বিজেপি করলে এই হাল হবে।’ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি এবং বিশ্বজিতের পরিবার।
শেষ অবধি ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে অর্পণ করে আদালত। সেই মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই অভিযুক্তদের খড়গপুর ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ওই ৩জনকে। উল্লেখ্য কয়েকমাস আগেই সবংয়ে বিশ্বজিতের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্বজিতের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে বিরোধী দলনেতা জানিয়ে গেছেন।