শশাঙ্ক প্রধান: কলকাতা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ডাকাতি করতে এসে পাকড়াও ৬ দুষ্কৃতি। রীতিমতো তাড়া করে ওই ডাকাতদলটিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ সঙ্গে ভেস্তে দিয়েছে বড়োসড়ো ডাকাতির ছক। শুক্রবার গভীর রাতে এমনই কৃতিত্বের অধিকারী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার পুলিশ। বালিচক পটাশপুর রাজ্য সড়কের অন্তর্গত দশগ্রাম ও চাঁদকুড়ির মধ্যবর্তী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র সহ মোট ৬ দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা হয় বলে সবং থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে দশগ্রাম চাঁদকুড়ি রাজ্য সড়কে টহল দিচ্ছিল সবং থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশ কর্মীরা লক্ষ্য করেন ঝড়ের গতিতে একটি পিকআপভ্যান বেরিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় ওই পিকআপভ্যানটির পিছু ধাওয়া করে টহলরত পুলিশকর্মী ও সিভিক বাহিনী। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পরেই পুলিশের নজর এড়িয়ে পিকআপ ভ্যানটি গায়েব হয়ে যায়। ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ আরও প্রবল হয়। সাথে সাথেই দশগ্রাম চাঁদকুড়ি এলাকার সিভিক বাহিনীদের এলার্ট করা হয়।
এরপর রাতভোর এলাকাজুড়ে চলে তল্লাসি। তারপরই পিকআপ ভ্যানটি পুলিশের নজরে এলে সাঁড়াশিচালে এলাকা ঘিরে ধরে পুলিশ কর্মীরা মোট ৬ জন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সবং থানার ভারপ্রাপ্ত এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে ছুরি,ভোজালি সহ নানা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অপকর্ম ঘটানোর উদ্দেশ্যে এলাকায় প্রবেশ করেছিল দুষ্কৃতীরা।কিন্তু তার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতরা হল সাদিক শেখ, ইকবাল হোসেন, সাইরুল মোল্লা, খুরশিদ আনসারী, বচ্চন মাঝি এবং মহম্মদ উস্তাক। এরা প্রত্যেকে কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওই পিকআপ ভ্যানটি কেউ আটক করেছে সবং থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবারই মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে ২ পান্ডাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাকিদের জেল হেফাজত হয়েছে।