নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃনমূলের রোগ সংক্রমিত বিজেপিতেও। প্রার্থী হতে না হওয়ায় গভীর রাতে হামলা চালানো হল খড়গপুরের বাসিন্দা বিজেপির রাজ্য নেতার বাড়িতে। ভাঙচুর করা হল বিজেপি নেতার পারিবারিক গাড়িতে। অবিশ্রান্ত ছোঁড়া ইটে আতঙ্কিত নেতা ফোন করলেন পুলিশে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এমনই ঘটনা ঘটল খড়গপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দা সবজি বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ওখানেই বাড়ি বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তুষার মুখার্জীর। খড়গপুর শহর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত তুষারের বাড়িতে হামলার ঘটনায় রীতিমত হতচকিত শহর বিজেপি। হামলায় খড়গপুর শহর বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তুষার।
উল্লেখ্য তুষারের বিপরীতেই বাড়ি বিজেপি নেতা তথা হস্তরেখাবিদ বলে পরিচিত সৌমেন দাস ওরফে বিলুর। সৌমেন এক সময় ওই এলাকায় দলের শক্তি প্রমুখ ছিলেন। সৌমেন আশা করেছিলেন এবং অনেককে বলেও বেড়িয়েছিলেন যে এবার ২৩নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পর দেখা যায় সেখানে অন্য নাম। তুষার মুখার্জী জানান, রাত ১২টা নাগাদ সৌমেন দাসকে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে ঘোরা ফেরা করছিল। আমি আমল দেয়নি। হঠাৎ রাত ২টা নাগাদ বাড়ির সামনে কিছু হৈচৈ ও ধুপধাপ আওয়াজ শুনতে পাই। বাড়ির জানলা দরজা বন্ধ ছিল। মনে করেছি সরস্বতীর ভাসান যাচ্ছে। এরপরও আওয়াজ না থামায় জানলা খুলে দেখি সৌমেন দাঁড়িয়ে আছে আর কয়েকজন মহিলা মিলে আমার বাড়িতে ইট ছুঁড়ছে। তারা বলছে, বিলুর বউকে টিকিট দিলিনা, তোকে দেখে নেব!’
মুখার্জী জানান, ‘ওরা চলে যাওয়ার পর বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি আমাদের পারিবারিক চারচাকা গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ আসে আমাদের ছেলেরাও আসে। আমি ছেলেদের শান্ত থাকতে বলি।’ মুখার্জী আরও বলেন, সৌমেন দাস একবার আমাকেও বলেছিল যে তাঁর স্ত্রী এবার টিকিট পাচ্ছেই। সাথে এমনটা হুমকিও দিয়েছিল যে ‘যদি আমার স্ত্রী টিকিট না পায় তা’হলে তোকে দেখে নেব।’ আমার বিশ্বাস সেই হুমকিই বাস্তবায়িত করল সৌমেন।”
বিজেপির রাজ্য নেতা আরও মারাত্মক অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘ওই মহিলাদের কয়েকজনকে আমি চিনি। তাঁরা দল থেকে বহিষ্কৃত কিন্তু এরমধ্যে কয়েকজন হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে যান। আমি তাঁদের হিরণের অফিসে বেশ কয়েকবার দেখেছি।’ ঘটনার পরই সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন মুখার্জী। দিলীপ ঘোষ তাঁকে জানিয়ে দেন, এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। মুখার্জী যেন পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশও জানিয়ে দিয়েছে যখনই অভিযোগ দায়ের হবে পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবে।’ সব মিলিয়ে ফের মাথা চাড়া দিল বিজেপির কোন্দল।