নিজস্ব সংবাদদাতা; এতদিন যাবৎ খড়গপুর শহরের ছিনতাই মামলায় পুলিশ মূলতঃ খড়গপুর শহর, মেদিনীপুর শহর ও মেদিনীপুর গ্রামীণ অংশের ছিনতাইবাজদের যোগ পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে খড়গপুর গ্রামীণ অংশ থেকেও ছিনতাইবাজরা খড়গপুর শহরে এসে ছিনতাই করছে। গত সোমবার, ২রা মে খড়গপুর শহরের সুভাষপল্লী এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ম্যানেজার তপন দাসের কাছ থেকে ছিনতাই হয়েছিল কয়েকলক্ষ টাকা। শনিবার সেই ঘটনায় গোকুলপুর রেল স্টেশন লাগোয়া পূর্ব আম্বা গ্রাম থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী ধৃত যুবকের নাম সেক মুস্তাফা এবং আরও একজন মিলে এই ছিনতাই করেছিল বলেই দাবি করেছে খড়গপুর টাউন পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ২রা মে খড়গপুর শহরের সুভাষপল্লীর বাড়ি থেকে গোলবাজারের এক আলু ব্যবসায়ি মালিকের গদিতে তার আগের দিন রাতে আদায় হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় তপন দাসের চোখে এক ধরনের স্প্রে করে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছিল দুই বাইক আরোহী দুস্কৃতি। সেক মুস্তাফা সেই দুস্কৃতিরই একজন বলে পুলিশ জানিয়েছে। মুস্তাফার কাছ থেকে লুটে ব্যবহৃত স্প্রেয়ারটি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য দুস্কৃতির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে খড়গপুর শহরের এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ মূলতঃ তল্লাশি চালাচ্ছিল শহরেরই বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে যেখানে দাগি দুস্কৃতিরা বসবাস করে। কিন্তু কিছুতেই এই ঘটনার সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা।
খড়গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘খড়গপুর শহরের ইন্দা, নিউটাউন, আনন্দনগর ইত্যাদি এলাকায় মেদিনীপুর শহর ও মেদিনীপুর সদর এলাকার দুস্কৃতিরা সক্রিয় বেশি। অন্যদিকে শহরের মধ্যাংশ অর্থাৎ গোলবাজার, বাসস্ট্যান্ড ও গিরিময়দান সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় আজাদবস্তি, কমলনগর, চায়নাবস্তির দুস্কৃতিরা। পাঁচবেড়িয়া ও বালুবস্তির দুস্কৃতিরা আবার এই দুই এলাকাতেই সক্রিয়। অন্যদিকে মথুরাকাটি থেকে নিমপুরা, মালঞ্চ এলাকায় সক্রিয় এই এলাকারই কিছু দুষ্কৃতি। স্বাভাবিক ভাবেই সুভাষপল্লীর ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা এই সব এলাকাতেই কনসেন্টেন্ট করেছিলাম।’
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ছিনতাইয়ের কিছুক্ষনের মধ্যেই খড়গপুর শহরের পেছনের দিক দিয়ে দুই যুবক হাওড়া-মুম্বাই রোডে উঠেছিল। যুবকদের চেহারা ও বাইকের সাথে ম্যানেজার তপন দাসের বর্ননা মিলে যায়। এরপরই গোকুলপুর, টাটা মেটালিক, সামরাইপুর এলাকায় খোঁজ চালাতে গিয়ে উঠে আসে সেক মুস্তাফার নাম।
শনিবার মুস্তাফাকে গ্রেফতার করার পর তারকাছ থেকে উদ্ধার হয় স্প্রেয়ারটি। পুলিশের বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি জালে উঠবে মুস্তাফার সাকরেদও।