Saturday, July 27, 2024

Sabang: মোবাইল ট্র্যাক করে মধ্যরাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার সবং যুব তৃনমূল নেতা! বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার নেতার স্ত্রী ছেলে, ভাই, ভাতৃবধূ

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান: পালিয়ে গেলেও খোলা রেখেছিলেন মোবাইল, বিভিন্ন নেতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন ফোন মারফৎ। সেই সূত্র ধরেই শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করে থাকা সবং তৃনমূলের যুব নেতা দীপঙ্কর প্রামানিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে
গ্রেফতার হওয়া যুব নেতা

জানা গেছে সোমবার মধ্যরাতে সবং থানারই মোহাড় থেকে আটক করা হয় দীপঙ্করকে। তারপর দীপঙ্করকে  তুলে নিয়ে আসা হয় সবং থানায়। সেখানে এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেফতার করা হয় বলপাই গ্রামপঞ্চায়েতের পেরুর গ্রামের যুব তৃনমূল বুথ সভাপতিকে।

পুলিশের একটি সূত্র মারফৎ জানা গেছে সোমবার সকালে দীপঙ্করের বাড়িতে পুলিশ আসতে দেখেই সরে পড়েছিলেন তিনি। সারাদিন তাঁর খোঁজ মিলছিলনা তাঁর। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু নেতার সঙ্গে ফোন মারফৎ যোগাযোগ শুরু করেন দীপঙ্কর। পুলিশ সেরকমই এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিন্তু সেই নেতা দীপঙ্করের অবস্থান সম্পর্কে পুলিশকে যে তথ্য দেয় তার সাথে পুলিশের ট্র্যাক করা মোবাইল লোকেশন মিলছিলনা। ওই নেতা ইচ্ছা করেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ নিজস্ব সূত্র অনুযায়ীই মোহাড় গ্রামে অভিযান চালায় এবং শেষ অবধি পাকড়াও করতে সক্ষম হয় দীপঙ্করকে।

সোমবার সকালে দীপঙ্করের বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দীপঙ্করের বাবা সুভাষ প্রামানিকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই পুলিশ আটক করেছিল দীপঙ্করের ভাই শুভঙ্কর ও অন্যান্য কয়েকজনকে। পুলিশ জানিয়েছে দেহটি দুমড়ে মুচড়ে বস্তায় ভরে তারপর সেফটি ট্যাঙ্কে চালান করে দেওয়া হয়েছিল। দীপঙ্কর আটক হওয়ার পর সব্বাইকে আরেক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ দীপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী তুলসী, দীপঙ্করের বড় ছেলে সুদীপ, শুভঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী নীলিমাকে।  নিহত সুভাষের ভাই চন্দন ও চন্দনের স্ত্রী গৌরীর নামও রয়েছে এফআইআর-এ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, অপরাধের প্রমান লোপাটের চেষ্টা সহ একাধিক অজামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা জজের আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই মুহুর্তে দীপঙ্করের বাড়িতে তাঁর ছোট ছেলে ও শুভঙ্করের একটি ছেলে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৬ই জুলাই রাতে তাঁদের নামে সম্পত্তি লিখে দিতে হবে এই দাবি করে ফের বাবার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দীপঙ্কর ও শুভঙ্কর। ব্যাপক মারধর করা হয় সুভাষকে। ওই মারেই প্রাণ হারান সুভাষ। তারপর বস্তায় ভরে বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই কাজে সম্ভবতঃ সাহায্য করেছিল দীপঙ্করের কাকা ও কাকিমাও। তৃনমূলের নেতারা যখন দীপঙ্করের বিরুদ্ধে কোনও কথাই শুনতে রাজি হয়নি তখন বিধান পাত্র সহ ৫ জন গ্রামবাসী শনিবার সবং থানায় অভিযোগ জানান। গ্রামবাসীরাই পুলিশকে জানান যে বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে মৃতদেহ।  সোমবার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সুভাষের পচাগলা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তারপরই পালিয়ে যায় দীপঙ্কর।

- Advertisement -
Latest news
Related news