Saturday, July 27, 2024

Midnapore: ভোট ফুরাতেই ঠান্ডা ঘরে প্রশাসন, বছর গড়িয়ে ফের রাস্তায় প্রতিবন্ধীরা! পশ্চিম মেদিনীপুরে অবরুদ্ধ সড়ক

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট বড় বালাই, ভোট আসলে রাজা মহারাজরাও রাস্তায় নেমে আসে কিন্তু ভোট ফুরালে রাস্তায় দেখা মেলেনা মাছি মারা কেরানীরও। তখন সব্বাই সিংহাসনে কিংবা সিংহাসনের পাশে বসে শীত ঘুমে চলে যায়। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেননা সহায়ক যন্ত্রাংশ। নেই ট্রাই সাইকেল, ক্র্যাচ ইত্যাদি। ফলে অনেকেরই যাতায়াত স্তব্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সুবিধা মিলছেনা, তাঁদের জন্য বরাদ্দ নেই সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ ঘরও। ক্রমশঃ নেই রাজ্যের বাসিন্দা এই প্রতিবন্ধীরা বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানা এলাকায়।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

এই অবরোধের জেরেই ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকল যান চলাচল। গত বছর একই দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। হয়েছিল পথ অবরোধও। স্থানীয় বিডিও আশ্বাস দিয়েছিলেন ভাত আর মাথার ওপর ছাদের অভাব হবেনা। অভাব হবেনা চিকিৎসা আর বস্ত্রের। কিন্তু কথা রাখেনি প্রশাসন। এখন প্রতিবন্ধীরা বুঝতে পারছেন গতবছর ছিল ভোটের বছর, বিধানসভা নির্বাচন। তাই ফাঁকা বুলিতে আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাঁদের। ভোট ফুরাতে প্রয়োজন ফুরিয়েছে তাঁদেরও।

রাত ফুরোলেই ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। ওদিকে ৭৬ পেরিয়ে ৭৭ বছরে পা রাখছে স্বাধীনতা কিন্তু ফি বছরই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের যন্ত্রনা পেতে পেতে কুঁকড়ে যাওয়া শরীরগুলোর কাছে বড় বিবর্ণ মনে হয় এই প্রজাতন্ত্র, এই স্বাধীনতা। তাই বছর পেরিয়ে ফের রাস্তায় নামতে হয় মানুষগুলোকে। মঙ্গলবার পিংলা থানার নারেঙ্গাদীঘি বড়িশা এলাকায় হেলেনকেলার হ্যান্ডিক্র্যাপ্ট আ্যসোশিয়েশনের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন ১৬দফা দাবি নিয়ে এই পথ অবস্থান শুরু করেছেন তাঁরা। আ্যসোশিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা অনুপ বেরা জানিয়েছেন, গত বছর বিডিওর প্রতিশ্রুতিতে আমরা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করেছিলাম কিন্তু এবার জেলাশাসক এসে আলোচনায় না বসলে অবরোধ চলতেই থাকবে।

অবরোধে সামিল হওয়া আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন আজ পর্যন্ত একজনও প্রতিবন্ধী সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাননি। তাঁদের জন্য কোনও চিকিৎসা সুবিধা নেই। তাঁদের মধ্যেই অনেকেই রয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন অথচ সেইক্ষেত্রে তাঁদের আলাদা করে কোনও সুবিধা দেওয়া হয়না। অনুপ বেরা বলেন, “সরকার মাসে ১০০০টাকা মানবিক ভাতা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন কিন্তু ওই টাকায় একজনের সারা মাসের টিফিনই হয়না। আমরা দাবি করছি নূন্যতম ৫০০০টাকা ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান দাখিল করব সরকারের কাছে। হয় সরকার সেই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দিন অথবা মাসে ৫হাজার টাকা দিন।” প্রায় শ’খানেক প্রতিবন্ধী সামিল হয়েছেন এই অবরোধে।

- Advertisement -
Latest news
Related news