নিজস্ব সংবাদদাতা: ১লা মে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার নেড়াকোপা গ্রামে। প্রচন্ড গরমের দাপটে পুকুর, জলাশয়ের জল অবধি যেন ফুটেছে। মানুষজন এই সময় সচরাচর বেছে নেয় ঠান্ডা জলের উৎস। দিনান্তে শরীর ডুবিয়ে একটু আরাম পাওয়া। পুরুষ এবং কিশোর কিশোরীরা এই সময় চাষের জমিতে ছোটে। চাষের প্রয়োজনে ভুগর্ভ থেকে মিনি ডিপটিউবেলে যে জল তুলে আনা হয় সেচের জন্য তা খুবই ঠান্ডা, প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এমনই এক মিনি ডিপটিউবেলে করতে গিয়ে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে পাপু ঘোষ নামে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের।
জানা গেছে রবিবার দুপুর নাগাদ নেড়াকোপা গ্রামেরই এক প্রতিবেশীর চাষের জমির মিনিতে স্নান করতে গিয়েছিল পাপু। ৪৪০ ভোল্ট শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ চালিত ওই মিনির পাম্প কোনও ভাবে জলক্ষেপনের লোহার পাইপের সংস্পর্ষে এসে বিদ্যুৎ বাহিত হয়ে গেছিল সম্ভবতঃ। যে কারনে স্নানে নামার সময় সেই লোহার পাইপ স্পর্শ করায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখামাত্র তাকে উদ্ধার করে তৎপরতার সঙ্গে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে পাপুকে।
অন্যদিকে গড়বেতারই এক দম্পতি হাসপাতাল থেকে তাঁদের সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যে অ্যাম্বুলেন্স করে ওই সদ্যজাতকে নিয়ে মা,বাবা বাড়ি ফিরছিল সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় গাড়ির চালককে সব্বাইকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল-ক্ষীরপাই রাজ্য সড়কের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রবিবার দুপুরের পর ঘাটাল হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গড়বেতা থানার খড়কুশমা ওমর ফারুক।
সেই সময়ের ঘাটাল-ক্ষীরপাই রাজ্য সড়কের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকায় ধান বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই অ্যাম্বুলেন্সটির। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সদ্যোজাত শিশু সহ মা ও বাবা, এরপর স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় এবং ক্ষীরপাই ফাঁড়ি পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদেরকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।