নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৭০ দিন পরে রবিবার চালু হল লোকাল ট্রেন আর প্রথম দিনেই নজর কাড়া ভিড় উপচে পড়তে দেখা গেল খড়গপুর স্টেশনে। রবিবার, ছুটির দিন স্বত্ত্বেও এ’দিন লোকালগুলিতে ভালই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন, লোকাল গুলির চালকরা। প্রায় সাড়ে পাঁচমাস পর লোকাল ট্রেন চালাতে পেরে খুশি তাঁরাও। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মে ভিড় বাড়বে এটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছিল খড়গপুর ডিভিশন। যাত্রীদের বাসার জন্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ারগুলি একটি ছাড়া একটিতে লাল রঙের কাটা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে অনুরূপ ভাবেই হলুদ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে ট্রেনের বেঞ্চিগুলোতেও। যাত্রীরা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন তার জন্য আরপিএফের নজরদারিও ছিল। তবে রাজ্য সরকারের তরফে লোকাল ট্রেনে যে ৫০% যাত্রী বহনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা আদতে কতটা কার্যকরী করা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যাত্রীদের বক্তব্য আজ রবিবার তার ওপর প্রথম লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টা জানেননা বলে এই পঞ্চাশ শতাংশ নিয়ম মানা যাচ্ছে কিন্তু আগামীকাল থেকে এই নিয়ম মানা সম্ভব হবে কী? তাঁদের বক্তব্য রাজ্য সরকার যখন লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দিয়েছে তখন রেল কেন মাত্র কয়েকটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল? এতে করে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী বহনের নীতি কখনই মানা সম্ভব হবেনা কারন মাত্র ওই কটি ট্রেনের ওপর ভরসা করেই তো সবাইকে যাতায়াত করতে হবে। কাজের জায়গায় যেতে হবে বা বাড়ি ফিরতে হবে। তা’হলে স্টেশনে পৌঁছে কোনও মানুষ কী এই ট্রেনটি পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তি হয়ে গেছে বলে পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবে?
উল্লেখ্য বর্তমানে খড়গপুর ডিভিশনের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর-হাওড়া যাতায়াতের জন্য ১৩টি এবং খড়গপুর-হাওড়া যাতায়াতের জন্য মোট ৫টি ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। মেদিনীপুর থেকে হাওড়া ৬টি ট্রেন যাবে এবং হাওড়া থেকে মেদিনীপুর ৭টি ট্রেন আসবে। খড়গপুরের যাত্রী ওই ট্রেনগুলি ছাড়াও হাওড়া যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ২টি এবং খড়গপুর ফেরার জন্য অতিরিক্ত ৩টি ট্রেন পাবেন। রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে যাত্রী সংখ্যা দেখার পরই আরও লোকাল ট্রেন নামানো হবে।
এদিকে বেলদা স্টেশনে আজ বেলদা হাওড়া লোকাল চালানোর জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বেলদা রেলযাত্রী ও নাগরিক কল্যাণ সমিতি। এই রুটে জলেশ্বর থেকে হাওড়া লোকাল চালু হয়েছে। সেই কারণে তাঁরা আজ চালক ও গার্ডকে যেমন ফুল মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেমনই দাবি করেছেন বেলদা-হাওড়া ২জোড়া নতুন লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে।
তাঁরা বলেন, বেলদার মত একটি জনবহুল এলাকা যেখান থেকে শত শত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে কলকাতা যেতে হয় সেখানে অন্য গন্তব্য থেকে আসা মাত্র একটি লোকালের ভরসায় চলেনা। এনিয়ে আমরা বহুবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আজ আমরা খুশি যে জলেশ্বর হাওড়া লোকাল চালু হল কিন্তু পাশাপাশি আমরা আমাদের পুরানো দাবি আবারও জানিয়ে রাখলাম।