Saturday, July 27, 2024

Kharagpur: কাক মরে নিষ্প্রদীপ রেল এলাকা! SDPO বাংলো থেকে অফিসার্স ক্লাব, রেল হাসপাতাল থেকে ট্রেনিং স্কুল ২ঘন্টারও বেশী অন্ধকারে

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: একটা কাক ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট অন্ধকার করে দিল রেল স্টেলেমেন্টের বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্ধকারের ঘন কালো অন্ধকারে কালো কাক খুঁজতেই হয়রান হয়ে গেলেন রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার থেকে কর্মীরা। ঝড় বৃষ্টি ছাড়া রেল কলোনীর অভ্যন্তরে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এই প্রথম। বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হল পুলিশ কর্মী থেকে হাসপাতালের রুগীদের। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮.১৫ অবধি এমনটাই চলল খড়গপুর রেল কলোনীর সাউথ সাইডের ফোর্থ ও সিক্স্থ আ্যভূনুর বড় একটা অংশ জুড়ে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের ১০নম্বর সেক্টর সূত্রে জানা গেছে অফিসার্স ক্লাব থেকে SDPO বাংলো অভিমুখী রাস্তার বাঁ দিকে যে রাস্তাটি রেলের ঝপেটাপুর সংলগ্ন কোয়ার্টারগুলির দিকে গেছে সেই সংযোগস্থলেই ২ঘন্টা ধরে খোঁজ করার পর সন্ধান মিলেছে ভিলেন কাকটির মৃতদেহের। নিউট্রাল আর ফেজের সঙ্গে মিলেমিশে সে ততক্ষনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পিন্ডি চটকে বসে আছে। পুরো এলাকাটি ঘন গাছপালায় ঢাকা থাকায় এই গলদটি খুঁজে পেতেই কালঘাম ছুটে গেছে ১০নম্বর সেক্টরের বিদ্যুৎ কর্মীদের।

ততক্ষণে গাঢ় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে অফিসার্স ক্লাব, SDPO বাংলো, রেলের নার্স কোয়ার্টার, চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কার্যালয়, সিস্টেম টেকনিক্যাল ট্রেনিং স্কুল, সিগন্যাল ট্রেনিং স্কুল, ছাত্রাবাস, রেল হাসপাতাল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকার মধ্যে থাকা সমস্ত আবাসনের পাশাপাশি চাঁদমারি লাগোয়া রেল কোয়ার্টার এবং সমস্ত রাস্তার বিদ্যুৎস্তম্ভগুলি আলো হীন হয়ে পড়ে। গাঢ় অন্ধকারে সময় প্রচন্ড অসুবিধায় পড়তে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে যারা সাইকেলে বা বাইকে যাতায়াত করছিলেন।বিপরীতমুখী চারচাকার তীব্র আলো চোখে পড়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে পথচারীদের।

জেনারেটর চালিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা বহাল রাখার চেষ্টা করা হলেও পর্যাপ্ত আলো ও ফ্যানের অভাব বোধ করছেন রোগীরা। ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে চিকিৎসাধীন রোগীদের। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ কর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা চারদিক ছুটে বেড়াতে থাকেন আসল সমস্যা কোথায় তা খুঁজে বের করার জন্য। সার্চ লাইট দিয়ে প্রতিটি সংযোগস্থল খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে দেখা মেলে ভিলেন কাকটির। তাকে সরিয়ে সামান্য মেরামতির পর ৮.১৫নাগাদ ফের ঝলমলিয়ে ওঠে রেলনগর। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল লাইন চালু না হওয়া অবধি এরকম নানা রকম বিভ্রাট ঘটতেই থাকবে তবে এবার যা হল তা সমস্ত নজির ছাড়িয়ে গেল। একটা কাক কী না ২ঘন্টারও বেশি নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল অর্ধেক রেলনগরকে!

- Advertisement -
Latest news
Related news