Saturday, July 27, 2024

Arms Smuggle: অস্ত্রপাচার কান্ডে গ্রেপ্তার তৃনমূলের যুব নেতা সহ ২ ! নিজেদের হেফাজতে নিল CID

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: অস্ত্র পাচারে অভিযুক্ত দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ CID। যার মধ্যে যুব তৃণমূলের এক নেতাও রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আন্তঃরাজ্য আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। ধৃতদের একজন বীরভূমের প্রভাবশালী যুব তৃনমূল নেতা মতিয়ার রহমান ওরফে কাজল শেখ। এর বিরূদ্ধে পুলিশের খাতায় খুন জখম অস্ত্র আইনে বিভিন্ন মামলা আগে থেকেই নথিভুক্ত রয়েছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার শিবদা গ্রামের বাসিন্দা বীরভূম তৃনমূলের প্রভাবশালী নেতা কাজল শেখ আর তার সহযোগী উত্তম কুমার পণ্ডিত দীর্ঘ দিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে জড়িত। বিহার এবং বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা পাচার করতেন বলে অভিযোগ সিআইডি-র। ঘটনার দিন লোকাল ট্রেনে বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছিলেন একটি জায়গায়। নামা মাত্রই সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দারা তাদের গ্রেপ্তার করে। তৃনমূলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে অভিযুক্তরা এক সময় তাদের দল করলেও বর্তমানে দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।

ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে জানা গেছে যে, সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পায়, দুই অভিযুক্ত বীরভূম থেকে রামপুরহাট-বর্ধমান লোকালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোমবার বিকেলে নোওয়াদার ঢাল স্টেশনে নামবেন। সেই মতো সিআইডি-র একটি দল স্টেশনে সাদা পোশাকে ছিল। বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ ট্রেনটি নোওয়াদার ঢাল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। ট্রেন থেকে নামা মাত্র সিআইডি-র ওই দলটি কাজল এবং উত্তমকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।

সোমবার রাতভর দুই অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করার পর বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। কোন কোন জায়গা থেকে অস্ত্র কোন ভাবে কার মাধ্যমে তাদের হাতে আসত, তারা কার কার কাছে অস্ত্র চালান করত এই সব কিছু জানা গিয়েছে। যদিও আরও অনেক তথ্য পাওয়া দরকার বলে CID জানিয়েছে। যে কারনে মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে হাজির করে তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। বর্ধমান আদালতের বিচারক ধৃতদের ছ’দিন পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। এরপর ধৃতদের নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে CID.

সোমবারই নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয় নিজের দপ্তরে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ বসে থাকা মালদহ জেলা মহিলা তৃনমূলের সভাপতি মৃণালিনী মন্ডল মাইতির একটি ছবি। দলের মহিলা শাখার সর্বোচ্চ নেত্রী তথা পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তারপরই বীরভূমের যুব নেতার আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল মানেই তো গুলি-বন্দুক। সেটাই আবার প্রমাণ হল। পুলিশ তৎপর হলে অনেক তৃণমূল নেতার কাছেই বন্দুক মিলবে।’’ আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ সালেক রহমানের পাল্টা দাবি, ‘‘ধৃতরা দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আগে দল করলেও, এখন তৃণমূলের সঙ্গে ওঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

- Advertisement -
Latest news
Related news