নিজস্ব সংবাদদাতা: ভাষা নেই, এই ইতরতাকে ভাষায় প্রকাশ করার ভাষাই নেই। পশ্চিম বাংলার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঠিক কী ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে তা বোঝানোর জন্যই আমরা কিছু অস্পষ্ট অক্ষর ব্যবহার করতে বাধ্য হলাম। মাননীয় পাঠক পাঠিকারা আমাদের মার্জনা করবেন। উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। যাদবপুর থেকে বিশ্বভারতী বিক্ষোভভের নানা ছবি আমরা দেখেছি কিন্তু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছবি দেখা গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/04/Screenshot_20220403-015924_Facebook.jpg)
ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নিজের কক্ষে উপাচার্যকে ঘিরে রয়েছেন কিছু ছাত্র নেতা। যাঁদের মধ্যে একজন বহিষ্কৃত। তিনি বলছেন, “আলিয়াকে তো খেলি ভালো মত, চুষে চুষে খেলি বাঁ…। এই, এই শা…শোন, আলিয়াটা বাঁ..মুসলিমদের, এত এত টাকা ঢোকে বাঁ…। আলিয়ার বেহাল অবস্থা করার জন্য তুই দায়ী বাঁ…। তুই আলিয়াটাকে শেষ করেছিস বাঁ…। চার তারিখের পর ক্যাম্পাস ছাড়া করে দেব। শা..ভিসি? বোকা..ভিসি হয়েছিস?” এরকম আরও অজস্র কুৎসিত, কদর্য ভাষায় গালাগালি করা হচ্ছে উপাচার্যকে। পাশে নির্বাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা।
শুধু তাই নয় অকথ্য ভাষার পাশাপাশি ‘চড় মারব’ বলে হুমকিও দিচ্ছেন ওই ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা। আর সেই ঘটনার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই পরিচিত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছবি এ রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। উপাচার্য মহম্মদ আলির ঘরে ঢুকে কার্যত তাঁকে শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই যুবক, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা হিসেবে পরিচিত, তাঁকে কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। আর সম্প্রতি জানা যায়, উপাচার্য মহম্মদ আলির কাজের মেয়াদ বাড়তে চলেছে। এ কথা শুনেই উপাচার্যের ঘরে গিয়ে চড়াও হন ওই বহিষ্কৃত ছাত্র নেতা।