নিউজ ডেস্ক: কয়েকবছর আগে পাহাড়ি এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে। এবার বন বিভাগের পাতা ক্যামেরাতে এই বনাঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থার অর্থাৎ কালো চিতা দেখা গেল। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবেশপ্রেমী মহল। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক অংশু যাদব বনবিভাগের পাতা ক্যামেরায় ব্ল্যাক প্যান্থার উপস্থিতির ঘটনাটি জানিয়েছেন। পরিবেশপ্রেমী মহলের তরফে এই বনাঞ্চলকে আরও গুরুত্ব সহকারে সংরক্ষণের আবেদন জোরালো হয়ে উঠেছে।
নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আওতাধীন। বিভাগের এডিএফও জন্মেজয় পাল বলেন, ‘কয়েক মাস আগে নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানে ট্র্যাপ ক্যামেরাতে ব্ল্যাক প্যানথারের ছবি উঠেছিল। বন বিভাগের তরফে বলা হয়েছে নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চলে বনকর্মীদের নজরদারি রয়েছে। তবে প্রবল বর্ষার জন্য বর্ষাকালে ট্র্যাপ ক্যামেরা গুলি সরিয়ে রাখা হয়।’
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচার এন্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের(ন্যাফ) কো-অর্ডিনেটর তথা উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অনিমেষ বসু বলেন, ‘নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চলে পাতা বন বিভাগের ক্যামেরায় ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ক্যামেরাবন্দি হওয়ার খবর পেয়েছি। এনিয়ে এখানে সাত-আট ধরণের বিড়াল শ্রেণীর প্রাণীর উপস্থিতির প্রমাণ মিলল। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ক্লাউডেড লেপার্ড, মার্বেল ক্যাটের পাশাপাশি ব্ল্যাক প্যান্থারের উপস্থিতি পাওয়া গেল। আমরা কিছু বনকর্মীদের কাছ থেকে নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থারের উপস্থিতির কথা শুনেছিলাম। এবার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ব্ল্যাক প্যান্থারের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।’
ওদলাবাড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচার অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটি(ন্যাস) সম্পাদক নফসর আলি বলেন, ‘এখন নিশ্চিত হলাম যে নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চলে ব্ল্যাক পানথার আছে। নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চলের আশেপাশে লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, কোলাখাম সহ অনেক পর্যটন এলাকা রয়েছে তাই এই বনাঞ্চলের বাড়তি নজরদারি রাখতেই হবে। বনকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’