Saturday, July 27, 2024

CBI Coal Maffia Arrested: অভিষেক-রুজিরার চাপ বাড়িয়ে কয়লা কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৪, জাল কি তবে গোটাচ্ছে সিবিআই ! উঠছে প্রশ্ন

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: কয়লাকান্ডে বড়সড় তৎপরতা দেখালো সিবিআই। একই দিনে গ্রেপ্তার করা হল কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ চার ব্যবসায়ীকে। শুক্রবার আসানসোল-বাঁকুড়া থেকে ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হল জয়দেব মণ্ডল, গুরুপদ মাঝি, নারায়ণ নন্দ ও নিরোদ মণ্ডল। এই কয়লাকান্ডে যখন তৃনমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা ব্যানার্জীকে ঘন ঘন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই আর ইডি তলব পাঠাচ্ছে তখন এই গ্রেপ্তার রীতিমত চাপ বাড়াচ্ছে তৃনমূলের ওপর। কারন কয়লাকান্ডে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারি দলটি নাম না করেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে এই পরিবারের প্রতি।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লালার ঘনিষ্ঠ এই চার সঙ্গীকে এদিন কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। কিন্তু তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জয়দেব মণ্ডল আসানসোলের, নারায়ন নন্দা রানিগঞ্জের, নীরদ মন্ডল মেজিয়ার এবং গুরুপদ মাজি পুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। এর আগেও এদের বাড়িতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। যদিও তখন তাদের নাগাল পায়নি সিবিআই অফিসাররা। এই চারজনের মধ্যে জয়দেব মন্ডল ও গুরুপদ মাজি কয়লা পাচারের দুই বৃহৎ মাফিয়া বলেই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ।

২০১১ সালে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু হাতিয়ারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কয়লা পাচারের সুবাদেই সামান্য একজন মাছ বিক্রেতা থেকে বৃহৎ সাম্রাজ্যের মালিক হয়ে যান গুরুপদ মাজির। কয়লা পাচারের মূল মাফিয়া লালার অংশীদার হওয়ার সুবাদেই তাঁদের এই রমরমা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে ৪ অভিযুক্তকেই তোলা হবে বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন। অথবা এঁদের কলকাতায় আনার পর দিল্লিও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য কয়লাকান্ডে তদন্তভার হাতে নিয়ে সিবিআই প্রথম গ্রেপ্তার করেছিল বাঁকুড়ার পুলিশ ইন্সপেক্টর অশোক মিশ্রকে। শাসক ঘনিষ্ট অশোকের গ্রেপ্তারের পরই চাপে পড়ে যায় তৃনমূল কংগ্রেস কারন সিবিআই এবং ইডি দাবি করতে থাকে যে তৃনমূলের যুবনেতা অভিষেক ব্যানার্জী ঘনিষ্ট বিনয় মিশ্র এবং ধৃত পুলিশ আধিকারিক অশোক মিশ্রের হাত ধরেই বাঁকুড়া এবং আসানসোল থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা শাসকদলের কলকাতার এক নেতা এবং তাঁর পরিবারের বিভিন্ন ব‍্যাঙ্ক আ্যকাউন্টে ঢুকেছে। যদিও এই অভিযোগে অশোক মিশ্রকে গ্রেপ্তার করলেও যুব নেতা বিনয় মিশ্র দেশ ছেড়েই পালিয়ে যায়। বিদেশেও তাঁর বিরুদ্ধে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই।

এদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে সিবিআই ও ইডিকে বারংবার জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে সিবিআই এবং ইডি। এমনকি দিল্লিতেও ডেকে পাঠিয়ে জেরা করছে ইডি। আদালতকে ইডি জানিয়েছে তাঁদের কাছে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার করার তথ্য রয়েছে। রয়েছে কতগুলো কার্টুনে ভরে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল এবং কোন গাড়িতে করে সেই টাকা ভর্তি কার্টুন পাঠানো হয়েছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যও ।

সম্প্রতি ইডি কর্তৃক দিল্লিতে ডেকে এই জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক দম্পতি যা খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে আগামী ৩০সেপ্টেম্বর, ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনই অভিষেক জায়াকে রুজিরাকে দিল্লিতে ইডির দপ্তরে তদন্তকারী আধিকারিকের মুখোমুখি বসতে হবে। তার প্রাক্কালে এই চারজনের গ্রেপ্তার নিশ্চিতভাবেই আলাদা বার্তা দিল।

- Advertisement -
Latest news
Related news