নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে এদিনই ঘূর্ণিঝড়ে ( Cyclone Jawad) পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। যার জেরে ওড়িশার জেলাশাসকদের নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইস্টকোস্ট রেলওয়ের (East Coast Railways) তরফে ৩ ও ৪ ডিসেম্বরের জন্য ৯৫ টি ট্রেন বাতিলের (Train cancell) সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় পরিচিত ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-হায়দরাবাদ ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস।
ইস্টকোস্ট রেলের তরফে জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বজিৎ সাহু বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯৫ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন এই ৯৫ টি ট্রেনের মধ্যে আপ ও ডাউন ট্রেন রয়েছে, যেগুলি ইস্টকোস্ট রেলের মধ্যে পড়ে এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের এলাকার মধ্যে দিয়ে চলাচল করে। সেই কারণে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) জেরে খড়গপুরের ওপর দিয়ে যাওয়া মোট ৭টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এরফলে আগামী ৩ এবং ৪ডিসেম্বর যাঁরা খড়গপুর থেকে এই ট্রেন ধরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁদের যাওয়া স্থগিত করতে হবে অথবা বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। দক্ষিণ ভারতের শহরগুলির ও হাওড়ার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনগুলি খড়গপুরের ওপর দিয়ে যায় যা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, হাওড়া হায়দরাবাদ ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল, হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, তিরুচিরাপল্লি-হাওড়া এক্সপ্রেস, ভাস্কো-ডা-গামা হাওড়া এক্সপ্রেস।
ইস্ট কোস্ট রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের বাতিল ট্রেন সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যও নেওয়া হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রাবল্য বাড়ে, তাহলে পরবর্তী সময়ে আরও ট্রেন বাতিল করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে। বাতিল ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে পুরী ও দিল্লির মধ্যে চলাচলকারী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, নন্দনকানন এক্সপ্রেস। এছাড়াও ভুবনেশ্বর এবং দিল্লির মধ্যে চলাচলকারী রাজধানী এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া, তথা ঝড়ের কারণে গত ছয়মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ট্রেন বন্ধ করা হল। এর আগে মে মাসের শেষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে ট্রেন বন্ধ করেছিল ইস্টকোস্ট রেলওয়ে। সাধারণভাবে এর আগে দেখা গিয়েছে ওড়িশা উপকূলে কোনও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার প্রভাব রেলপথের ওপরেও পড়ে। রেলপথ জলে ডুবে যাওয়া ছাড়াও ওভারহেড তারের ওপরে গাছ পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। যে কারণে প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলের ওপরে। যাত্রীরাও মুশকিলে পড়েন। তাই এবারও আগে থেকেই ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত।