Saturday, July 27, 2024

Digha: ৪০ মাছেই কোটি টাকা পেলেন মৎসজীবী ! ৪ মাসের মধ্যেই ফের জ্যাকপট দিঘায়

On Tuesday morning, the fishes were auctioned in the yard of Shyamsunder Das at Digha estuary. The prices of fish have been rising since they were brought to the yard. After a long bargain, the fish was bought at noon by the Calcutta Marine Products Company. According to Shyamsundarbabu, each oil weighs up to 20-25 kg. 33 Telia Bhola weighed 6 kg. It has been sold at a price of Tk 12,300 per kg for a total of Tk 96,8,600. And the weight of each cell is up to 12-13 kg. The weight of 6 cells is 90 kg. They are sold at a total price of 1 lakh 30 thousand 500 rupees at the price of 1450 rupees per kg. After selling a total of 40 fish, this time the trawler owner Chanchal Pradhan got a total of 96 lakh rupees and 98 thousand 300 rupees.

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি মরশুমে মুখ ফিরিয়েছে ইলিশ কিন্তু টাকার অঙ্কে বারংবার জ্যাকপটের কাঁটা ঘুরে ফিরে স্থির হয়েই দাঁড়িয়েছে দীঘা মোহনায়। আর সেই অঙ্কই যেন এযাবৎ কালের সমস্ত অঙ্ককেই ছাপিয়ে গেল মঙ্গলবার। এদিন দিঘা মোহনার মাছের নিলাম বাজারে মাত্র ৪০টি মাছ থেকেই প্রায় কোটি টাকা বাড়ি নিয়ে গেলেন এক মৎস ব্যবসায়ী যা এ যাবৎকালের রেকর্ড বলেই মনে করছেন দিঘার মৎসব্যাবসায়ীরা। আর সেই অবাক মাছ দেখতেই ভিড় উপচে পড়ল মোহনা বাজারে। খবর পেয়ে হোটেল খালি করে ছুটে আসতে দেখা গেল পর্যটকদেরও। চলল দেদার সেলফি তোলাও।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

দীঘা মোহনা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ট্রলারমালিক চঞ্চল প্রধানের ‘মা বাসন্তী’ ট্রলারে মৎস্যজীবীদের জালে ৩৩ টি তেলিয়া ভোলা মাছ ধরে মোহনায় এসে পৌঁছায়। সঙ্গে এসেছে আরও ৭টি সেল মাছ। মঙ্গলবার সকালে দিঘা মোহনায় শ্যামসুন্দর দাসের আড়তে মাছগুলি নিলামে তোলা হয়। আড়তে আনার পর থেকেই দর উঠতে থাকে মাছগুলির। দীর্ঘ দরদামের পর দুপুরে মাছগুলি কিনে নেয় কলকাতা মেরিন প্রোডাক্ট সংস্থা।

ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর নব কুমার পয়ড়্যা জানিয়েছেন,  ২০- ২৫ কেজি পর্যন্ত ওজন একেকটি তেলিয়ার। ৩৩ টি তেলিয়া ভোলার ওজন হয়েছে ৭৮৬ কেজি। ১২ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে মোট ৯৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। আর প্রতিটি সেলের ওজন ১২-১৩ কেজি পর্যন্ত। ৭ টি সেলের ওজন হয়েছে ৯০ কেজি। ১৪৫০ টাকা কেজি দরে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় সেগুলি। সব মিলিয়ে ৪০ টি মাছ বিক্রি করে এবার মোট ৯৭ লক্ষ টাকা ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা পেয়েছেন ট্রলার মালিক চঞ্চল প্রধান।

উল্লেখ্য চারমাস আগে জুলাই মাসে এই চঞ্চল প্রধানেরই ট্রলারে গত জুলাইয়ে ৩৪ টি তেলিয়া ভোলা উঠেছিল সেবার বিক্রি করে ৪৫ লক্ষেরও বেশি টাকা পেয়েছিলেন চঞ্চলবাবু। শ্রী পয়ড়্যা বলেন, এই মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়। এর পটকা থেকে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয়। তাই এই মাছের এত দাম হয় এবং মাছকে ঘিরে মৎস্যজীবী মহলের মধ্যে আগ্রহও থাকে তুঙ্গে। জানা গেছে বিশেষ ধরনের ক্যাপসুলের খোল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় এই মাছের পটকা। যে মাছের পটকা যতবড় হয় তার দামও তত বেশি হয়। যে কারনে স্ত্রী তেলিয়া ভোলার চাইতে পুরুষ তেলিয়া ভোলার কিলো প্রতি দাম অনেক বেশি হয়।

দিঘায় তেলিয়া ভোলা মাছের মধ্যে কেজি প্রতি সর্বাধিক দামের রেকর্ড রয়েছে ২০১৭ সালে ৪০কেজি ওজনের একটি মাছের। দাম উঠেছিল ১৯ হাজার টাকা প্রতি কেজি এবং ওই একটি মাছ বিক্রি করে ৭লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন এক মৎস ব্যবসায়ী। কিন্তু ইলিশের বাইরে গিয়ে এক লপ্তে প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রিতে মঙ্গলবারই নতুন রেকর্ড বলে দাবি করেছেন দিঘার মৎসজীবীরা।

- Advertisement -
Latest news
Related news