Saturday, July 27, 2024

Midnapore House wife fled and Marriage: হাওড়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুর! ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বিয়েই করে ফেললেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গৃহবধূ! বাড়ি ফিরছিনা, জানালেন পিংলা কন্যা

Two housewives from Bali area of ​​Howrah escaped with two masons. Although they did not get married. Later the police brought them back. But the housewife of West Midnapore took her five-year-old son for tuition and ran away from home and got married to a young man. The housewife of Danichak village in Govardhanpur area of ​​Pingla police station of West Midnapore district has registered a marriage with a young man and informed her father that she is in Medinipur town. The housewife's father-in-law filed a missing diary with Pingla police station on Thursday. On Friday afternoon, the girl suddenly told her father Swapan Samanta, 'I am in Medinipur town. I have registered and married one and I will spend the rest of my life with him. My body will have to be taken away by the police. '

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান: হাওড়ার বালি এলাকার দুই গৃহবধূ পালিয়েছিলেন দুই রাজমিস্ত্রীর সাথে। যদিও বিয়ে করেননি তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের গৃহবধূ পাঁচ বছরের ছেলেকে টিউশন পড়াতে নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়েই করে ফেলেছেন এক যুবককে। এমনটা দাবি করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আর বাড়ি ফিরবেননা তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার গোবর্ধনপুর অঞ্চলের দনীচক গ্রামের ঘটনায়
এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই গৃহবধূ এক যুবককে রেজিস্ট্রি বিয়ে করে মেদিনীপুর শহরেই আছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবাকে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সকালে ৫ বছরের ছেলেকে টিউশিনি পড়ানোর নামে বেরিয়ে যান বাড়িতে থেকে। আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,পিংলা থানার দনীচক গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা সুদেষ্ণা মাইতি,স্বামী গোপাল মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। অভিযোগ বৃহস্পতিবার সকালে সুদেষ্ণা তার পাঁচ বছরের ছেলে রাজকুমার মাইতিকে নিয়ে টিউশন পড়াতে নিয়ে যাবে বলে বাড়ি টাকা সোনার গয়না নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ বলতে থাকে এমনটাই দাবি পরিবারের।

এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর সুদেষ্ণা মাইতির দাদা শুভঙ্কর সামন্ত বোনকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। তিনি জানান,আজ সকালে বোন ভাগ্নেকে নিয়ে টিউশন পড়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই এখনো পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি। ঘটনায় নিখোঁজ ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনায় কার্যত দিশেহারা হয়ে যায় উদ্বিগ্ন পরিবার। বাড়ির গৃহবধূকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে পেতে চাইছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পিংলা থানা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই গৃহবধূর শশুর।

কিন্তু রহস্যের জট খোলে শুক্রবার দুপুরে। হঠাৎই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বাবা স্বপন সামন্ত। বাবাকে মেয়ে জানায়, ‘আমি মেদিনীপুর শহরেই আছি। একজনকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছি আমি এবং তাঁর সঙ্গেই আমি বাকি জীবন কাটাবো। সুদেষ্ণা তাঁর বাবাকে আরও বলেছেন, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হত। স্বামীকে বললেও,স্বামী গ্রাহ‍্য করতনা। স্বামী না থাকায় তাঁকে কার্যত একঘরে হয়ে থাকতে হত সন্তানকে নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। সুদেষ্ণা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি পুলিশ নিয়ে মেদিনীপুরে তাঁর বর্তমান স্বামীর ঘরে কেউ যায় তবে তাঁদেরকে সুদেষ্ণার মৃতদেহ আনতে হবে।

সুদেষ্ণার বাবা স্বপন আরও জানিয়েছেন, আমার মেয়ে এর আগেও আমাকে শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কথা বলেছে। আমি ওকে মানিয়ে নিতে বলেছিলাম। আগেও ওই গৃহবধূ একবার চলে গেছিলেন বলে জানা গেছে। সেবার বাড়ির লোকেরা তাঁকে নিয়ে এসেছিল কিন্তু এবার বিয়ে করে ফেলার খবরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় পুলিশ এবং বাড়ির লোকেরা।

- Advertisement -
Latest news
Related news