নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৫ সালে খড়গপুর গোলবাজারে দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত জয়শঙ্কর সাউ খুনের প্রধান পান্ডা বা কিং পিন ভেঙ্কট রাও কী গ্রেপ্তার হয়েছে? এই প্রশ্নে তোলপাড় খড়গপুর। পুলিশ সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু না বললেও পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ ডেবরা থেকে এক দুষ্কৃতি নেতা ও তার ৫সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঠিকই। সেই দুষ্কৃতি নেতার নাম ভেঙ্কট রাও কিন্তু সেই এই জয়শঙ্কর সাউ ওরফে মুন্না খুনে অভিযুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’
পুলিশ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায় খড়গপুর হাওড়া জাতীয় সড়কে ডেবরা টোলপ্লাজার কাছে একটি গাড়িতে থাকা ৬ অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এই ছয়জনের মধ্যেই পাওয়া যায় বছর চৌত্রিশের ভেঙ্কট রাওকে। ভেঙ্কট খড়গপুর টাউন থানার ইন্দা এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে দিল্লীতে বসবাস করত। আর সেখান থেকেই নানাধরনের অপরাধের নেতৃত্ব দিত। খড়গপুর সহ লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অপরাধে অভিযুক্ত সে। ব্যবসায়ীদের তোলা চেয়ে নিজস্ব দল পাঠাতো সে এবং তাদের মাধ্যমেই তোলা আদায় করত।
অভিযোগ ২০১৫ সালে খড়গপুর শহরের গোলবাজারে এক পিঁয়াজ ব্যবসায়ী জয়শঙ্কর সাউ খুনের ঘটনায় এক ভেঙ্কট রাওয়ের নাম উঠে আসে। পুলিশ সেই সময় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে এরকমই একটি সম্ভাবনার কথা জানতে পারে। যদিও সেই খুনের শেষ অবধি কিনারা করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া ভেঙ্কট রাওকে ধরে ফের সেই তদন্তের কাজ শুরু করতে চাইছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ভেঙ্কট ছাড়াও বিহারের বেগুসরাইয়ের দুই দুষ্কৃতি আমির ইকবাল (২০), সুমিত কুমার (২১)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই গাড়ি থেকে। সুমিতের আবার কলকাতাতেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে খড়গপুর মালঞ্চর দুষ্কৃতি প্রেমা(৩০) এবং মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার কালগাঙের দুষ্কৃতি সঞ্জয় পাত্র(২০)। অন্য গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি এদের গাড়ির চালক। আপাততঃ এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে পেশ করে পুলিশ নিজস্ব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কি উদ্দেশ্যে নিয়ে এরা খড়গপুর ঢুকতে চাইছিল তা জানতে চাইছে পুলিশ।