নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রতিহিংসা মূলক আচরণের অভিযোগ উঠছে তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে নিয়োগ করেছে উচ্চ আদালত।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/09/IMG-20210902-WA0019.jpg)
এবার সেরকমই একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠে আসল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় থানা এলাকা থেকে। অভিযোগ এক বিজেপি কর্মীর চাষের জমি নষ্ট করে দিয়েছেন স্থানীয় তৃনমূল কর্মীরা। যদিও তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগড়ের কুশবাসনের রেডিপুর এলাকার। ওখানকার এক স্থানীয় বিজেপি কর্মী প্রশান্ত রানা অভিযোগ করেছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কুসবাসন অঞ্চলে বিজেপির সাথে তিনি যুক্ত। কিন্তু বিজেপি করার জন্য ২০১১ সালে থেকে তার জোতের একটি জমি বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল তাঁর দখল করার চেষ্টা করে। বিজেপি কর্মী প্রশান্ত রানার অভিযোগ এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে জানালেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করেনি। রানা জানান, গত ২০বছর ধরে এই জমি তিনি চাষ করে আসছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯৯ বছরের লিজ চুক্তিতে ওই জমি কিনেছিল তাঁর পরিবার। মোট ৫৩ ডেসিমেল জমি তাঁরা চার ভাই ধরে চাষ করে আসছেন।
শ্রী রানা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তৃনমূলের স্থানীয় কিছু কর্মী ওই জমিতে দলীয় ঝান্ডা পুঁতে দেয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়েছিল বিষয়টি দেখার জন্য। এরপর তিনি সেই ঝান্ডা সরিয়ে দিয়ে চাষ করার উদ্যোগ নেন। সম্প্রতি ওই জমিতে ধান রোপন করেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে সেই জমির রোপিত চারা উপড়ে ফেলা দেওয়া হয়। এরপর বুধবার রাতে বাকি ধানের চারাও উপড়ে ফেলে পুরো জমি ঘেঁটে দেওয়া হয়েছে। রানা জানিয়েছেন,”এই জমিতে থেকেই আমার সমবৎসরের চাল পেয়ে থাকি যা দিয়ে সারা বছরে সপরিবারে ক্ষুন্নবৃত্তি করে থাকি। এখন আমার যা অবস্থা তাতে সপরিবারে না খেয়ে মরতে হবে।”
যদিও এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন কুশবাশন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান ইউনিস আলী শাহ। শাহ বলেন, ‘উনি বিজেপি কর্মী হতে পারেন কিন্তু আমাদের দল বা আমরা কেউ ব্যক্তিগতভাবে এই কাজ করিনি।তৃণমূল দলের নামে এটা মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে,কেউ যদি এই কাজ করে থাকে আমরাও তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’