Saturday, July 27, 2024

Kharagpur Youth lost Arm: মর্মান্তিক পরিণতি খড়গপুর রেলকর্মীর! পশ্চিম মেদিনীপুরের হাসপাতালে বাঁ হাতের অপারেশন করতে গিয়ে বাদ গেল ডান হাত

He needed surgery on his left hand but returned home after treatment losing his right hand. Victim Subhash Das has claimed that the left hand bone of this railway worker was broken in an accident in 2014. At that time he was treated by a prominent orthopedic specialist Abdul Latif. At that time a plate was put in the hand. Which is to be removed by operation again next year. But the following year, Subhash's mother and father died. Subhash got a job in the railways in 2016. He did not perform the operation thinking whether he would get leave after getting a new job. On December 6 this year, he approached Dr. Latif again to get the plate out. That night, orthopedist Abdul Latif took out a plate from his left hand. A channel is made in his right hand for antibiotics and other needs. Subhash complained that the pain started after a few hours of doing this channel. Nothing more could be done. He was rushed to a private hospital in Kolkata. There the doctors, realizing the seriousness of the situation, removed the elbow from the right hand.

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: অপারেশনের প্রয়োজন ছিল বাঁ হাতের কিন্তু চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেন ডান হাত খুইয়ে। চিকিৎসা বিভ্রাটের এই মারাত্মক নমুনায় শুধু একটা হাত চলে যাওয়াই নয়, প্রশ্ন উঠেছে শেষ অবধি চাকরিটা থাকবে তো? ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরের। হতভাগ্য ওই যুবক রেলকর্মীর নাম সুভাষ দাস। বিষয়টি নিয়ে এই রেলকর্মীর স্ত্রী প্রতিমা দাস জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলাশাসক, খড়গপুর মহকুমা শাসক ও গুড়গুড়িপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। দাবি করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সুভাষ দাস দাবি করেছেন ২০১৪ সালে একটি দুর্ঘটনায় এই রেলকর্মীর বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। সেই সময় তিনি চিকিৎসা করিয়েছিলেন বিশিষ্ট অস্থি বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফের কাছে। ওই সময় হাতে একটি প্লেট লাগানো হয়। যা কিনা পরের বছর ফের অপারেশন করে বের করার কথা। কিন্তু পরের বছর পরপর সুভাষের মা ও বাবার মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে রেলে চাকরি পান সুভাষ। সদ্য চাকরি পেয়েই ছুটি পাবেন কিনা ভেবে আর অপারেশন করেননি তিনি।

চলতি ডিসেম্বরে ওই প্লেট বের করার জন্য ফের ডাঃ লতিফের দ্বারস্থ হন তিনি। ৬ই ডিসেম্বর তিনি এই প্লেট বের করার জন্য মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেইদিন রাতে অস্থি বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফ বাম হাতের প্লেট বের করেন। আ্যন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য প্রয়োজনে একটি চ্যানেল করা হয় তাঁর ডান হাতে। সুভাষের অভিযোগ এই চ্যানেল করার ঘন্টা কয়েক পর থেকে যন্ত্রণা শুরু হয়। অভিযোগ সেইসময় বারবার অস্থি বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফকে ডাকা হলেও কোনও সাড়া দেন নি। রাত এগারোটা নাগাদ যখন তিনি পৌঁছান ততক্ষণে হাতের অবস্থা ভয়ংকর আকার ধারন করে। তিনি রোগীকে দেখার পরেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে একটি রেফার চিঠিও করে দেন।

এরপরে সুভাষ দাসকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে রওনা হয় তাঁর পরিবার। কিন্তু সেখান থেকে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গার্ডেনরিচে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীকালে তাঁকে রেলের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ডান হাতের কনুই থেকে বাদ দেন। দু’দিন আগে তাঁকে খড়গপুর শহরের নিমপুরা এলাকার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রীতিমতো বিধ্বস্ত রেলকর্মী সুভাষ দাস চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন।

ড: আব্দুল লতিফ বলেছেন, “দেখুন আমি একজন চিকিৎসক হিসাবে অপারেশন করেছি এবং যে হাতে অপারেশন করেছি তা সাকসেসফুল হয়েছে। বিষয়টা হয়েছে অন্য একটি হাতে যেখানে একজন নার্স ইঞ্জেকশন দিয়েছে। যে কোনও ভাবেই হোক ওনার আর্টারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় আমার কিছুই করার ছিলনা আমি পরামর্শ দিয়েছি কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার। একজন চিকিৎসক হিসাবে আমার খুবই খারাপ লাগছে কেননা অপারেশনটা আমি করেছি কিন্তু আবারও বলছি আমি যে কাজ করেছি সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি।”

- Advertisement -
Latest news
Related news