Saturday, July 27, 2024

Midnapore: প্রেমে দ্বিতীয় মালির আবির্ভাব, পশ্চিম মেদিনীপুরে নাবালিকা ছাত্রীকে মার ‘প্রাক্তন’ প্রেমিকের ! ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ১

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক ফুল দো মালির গল্পের মতই ঘটনা। এক প্রেম ছেড়ে অন্য প্রেমে পা বাড়াচ্ছে প্রেমিকা এমনই অভিযোগে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে চড় থাপ্পড় মারার পাশাপাশি কুৎসিত গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় গোটা ঘটনাটি মোবাইল বন্দী করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুর দাঁতন থানার অন্তর্গত ষড়রং গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে গ্রেফতার হওয়া যুবক ছাত্রীকে উত্যক্ত করেছিল যে যুবকটি তার সঙ্গে ছিল। ছাত্রীকে মারায় মূল অভিযুক্ত সহ আরও কয়েকজনকে খুঁজছে পুলিশ।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বিদ্যালয় ছুটির পর নিজের স্কুল ষড়রং মধুসূদন বিদ্যাপীঠ থেকে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। দুপুরের পর স্থানীয় একটি বাজার এলাকার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রীর পথ আটকায় এক যুবক যার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। সেই সময় বাজার বন্ধ থাকায় আশেপাশে কেউ ছিলনা। ওই ছাত্রীকে পথ আটকে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, এতদিন কী তাহলে আমার সঙ্গে তুমি টাইমপাশ করছিলে। এখন তুমি আবার অন্যজনের সঙ্গে লাইন মারতে শুরু করেছ? ছাত্রীকে দেখা যায় চুপচাপ অনড় থাকতে। যুবকের ক্রুদ্ধ আচরণের কাছে ছাত্রীটি ক্রমশ সিঁটিয়ে যাচ্ছিল বন্ধ দোকানের গায়ে। ওই সময় হলুদ টি শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা যুবককে দেখা যায় ছাত্রীটিকে চড় থাপ্পড় মারতে সাথে অশ্লীল গালিগালাজ। যুবকের মারের হাত থেকে আঘাত যাতে কম হয় তাই বারবার সে তার গায়ের চাদর দিয়ে দুই গাল ঢাকার চেষ্টা করছিল।

যুবককে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘আমি তোমার বাবাকে ফোন করে ডাকছি। সে এসে দেখে যাক মেয়ে কী করছে। আমি কী তোমার পরিবারের খেলনা যে আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই করবে তোমরা।’ সঙ্গে থাকা কিছু যুবক আবার ওই জিতু নামে ডাকা ছেলেটিকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। জানা গেছে ওই যুবকের নাম পবিত্র বেরা।ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় কিছু পথচারী মানুষ। এক মহিলাকেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে দেখা যায়। কেউই অবশ্য খুব একটা কিছু বলছিলেননা। তারাও হয়ত বিষয়টাকে প্রেমিক প্রেমিকার নিজস্ব ব্যাপার ধরে নিয়ে চুপচাপ ছিলেন। যদিও পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে মঙ্গলবার সকালে একটি অভিযোগ দায়ের হয় দাঁতন থানায়। এরপরই পুলিশ অভিযানে নেমে এক যুবককে আটক করে। পবিত্র অবশ্য পলাতক। বুধবার সকালে ওই যুবককে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে দাঁতন থানার পুলিশ।

যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে যে ওই ছাত্রীর প্রেম ছিল এমন কোনও স্বীকারোক্তি মেলেনি। ওই ভিডিওটিতে এই প্রেমের কথা, টাইমপাশের কথা কিংবা পরিবারের খেলনা হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার কথা সবটাই যুবককেই বলতে শোনা গেছে। তাছাড়া প্রেম থাকুক আর নাই থাকুক এই ভাবে কাউকে মারা যায়না। তাই বিষয়টা গুরুতর অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন অপরাধের মধ্যে পড়ে এই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়াটাও। কোন মোবাইল থেকে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তারও খোঁজ করছে পুলিশ।

- Advertisement -
Latest news
Related news