নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর হিজলী আর ঝাড়গ্রাম থেকে চলা একাধিক ট্রেন পুরোপুরি তুলে নেওয়া হল। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ওই ট্রেনগুলি আর পাবেননা যাত্রীরা। দক্ষিণপূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে লোকসানে যাচ্ছিল ৮জোড়া বা ১৬টি ট্রেন। আশানুরূপ যাত্রী হচ্ছিলনা।সেই কারণেই আর চলবে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। দক্ষিণপূর্ব রেল ডিভিশনের এই ট্রেনগুলি চলত বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই তিনটি রাজ্যের মধ্যে। যারমধ্যে একাধিক ট্রেন বন্ধ হয়েছে খড়গপুর, হিজলী ও ঝাড়গ্রাম থেকে চলত এমন এক্সপ্রেস অথবা মেমু লোকাল।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে রেলের কাছে আবেদন জানান যে, বেশকিছু এক্সপ্রেস ট্রেন যখন করোনার জন্য ‘স্পেশাল’ এক্সপ্রেস হিসাবে চালু করেছে। তখন ওই ট্রেনগুলি কেন স্পেশাল হিসাবে চালু করা হবেনা? এরই পরিপ্রেক্ষিতে রেল জানিয়ে দেয় যে ওই ট্রেনগুলি এই শাখা থেকে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়ে যাওয়া সবক’টি ট্রেনই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই ট্রেনগুলির চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা কেটে গেলেও এই ট্রেনগুলির আর ফেরৎ আসার সম্ভাবনা নেই কারন রেলের যুক্তি, এই ট্রেনগুলিতে পর্যাপ্ত যাত্রী হচ্ছে না। অলাভজনক হিসেবে চিহ্নিত করেই ট্রেনগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বাতিল ট্রেনের মধ্যে বাংলার পাঁচ জোড়া রয়েছে। হাওড়া-পুরুলিয়া আপ ও ডাউন লালমাটি এক্সপ্রেস আর চলবে না। একই ভাবে বাতিল আপ ও ডাউন খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/Screenshot_20211023-181659_Notepad.jpg)
এ ছাড়াও আপ ও ডাউন শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনটি আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ট্রেনই বাতিল ছিল। তারই মধ্যে এই ট্রেনগুলি পুরোপুরি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাঁচি-পটনা এসি এক্সপ্রেস। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে বিহারের রাজধানী পটনাগামী এই ট্রেনটি কোডারমা, হাজারিবাগ হয়ে যেত। খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস একটা সময়ে বাংলায় খুবই জনপ্রিয় ট্রেন ছিল। একই ভাবে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনগুলির মাধ্যমে স্থানীয় যাত্রীরা উপকৃত হতেন। কিন্তু রেলের বক্তব্য, ইদানীং এই ট্রেনগুলিতে একেবারেই যাত্রী হচ্ছে না। এদিকে এই ট্রেনগুলি বাতিল হওয়ার পর যাত্রীরা প্রভূত সমস্যায় পড়তে চলেছেন বলেই জানা যাচ্ছে।