নরেশ জানা: ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুর ( IIT Kharagpur)। যেখানে ভর্তি হতে গেলে দিতে হয় কঠিন পরীক্ষা। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার টপাররাই একমাত্র সেই সুযোগ করে নিতে পারেন। আর একবার ভর্তি হলেই খুলে যায় স্বপ্নের দুয়ার, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চাবি কাঠি তখন হাতের মুঠোয়। যেমনটা হয়েছে এবারও। চলতি ডিসেম্বর মাসেই ১৬০০ বেশি পড়ুয়াকে চাকরি দিয়েছে নামি দামী কোম্পানি। ৪৫ জন সুযোগ পেয়েছেন বিদেশে চাকরি করার আর ১২ জনের বেতন কাঠামো বছরের ১ কোটি টাকা থেকে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা! সেই আইআইটি খড়গপু্রের ( IIT Kharagpur) এবার নতুন উদ্যোগ, আইআইটি খড়গপু্রে ভর্তি না হয়েও দেশের কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া পড়তে পারেন আইআইটি খড়গপু্র ক্যাম্পাসে। সম্প্রতি এমনই ঘোষনা করলেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি ( Virendra Kumar Tiwari)।
মঙ্গলবার দেশ এবং বিদেশের প্রাক্তনীদের ( Face to Face with Alumni-2022) কাছে তৃতীয় বারের জন্য বাৎসরিক রিপোর্ট কার্ড পেশ করতে গিয়ে বিগত বছরগুলির কার্যকলাপের পাশাপাশি আগামী বছরগুলির জন্য আইআইটি খড়গপু্রের কিছু পরিকল্পনা পেশ করেন অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি। সেখানেই তিনি এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আগামী বছর (২০২৩) থেকেই আমরা একটা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি যেখানে বাইরের ইউনিভার্সিটির কোনও পড়ুয়া চাইলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসে একটি সেমিস্টারের (৬ মাস) জন্য পাঠ নিতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যে বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করছেন সেই বিষয়ই যাতে এখানেও পড়তে পারেন আমরা সেই সুযোগ করে দেব।” পাশাপাশি তিনি এও ঘোষনা আইআইটি খড়গপুরেরও কোনোও পড়ুয়া চাইলে একটি সেমিস্টারের জন্য অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পাঠ নিতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ” এই আদান প্রদানের ফলে আইআইটি খড়গপুর যেমন তাদের পঠন পাঠনের সংস্কৃতি দেশের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রদান করতে পারবে তেমন দেশের নামী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আইআইটি খড়গপুর নিজেও সমৃদ্ধ হতে পারবে।
এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় অধ্যাপক তিওয়ারি জানিয়েছেন, আইআইটির পড়ুয়ারা যাতে শুধুই চাকরিমুখী না হয়ে নিজেরা অন্যের জন্য চাকরি তৈরি করতে পারেন, তাঁরা যাতে শিল্পমুখী হয়ে উঠতে পারেন তাই দেশে বিদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে তাঁরা তাঁদের পাঠ চলাকালীন ৬ থেকে ৮ মাস অবধি শিক্ষার্থী হিসেবে থাকতে পারেন যা তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর বা গ্রেডের সংগে যুক্ত হবে। তাঁর কথায়, “আমরা আমাদের প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টকে এভাবেই তৈরি করতে চাইছি যাতে প্রত্যেকেই ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগপতি হতে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা আমাদের পড়ুয়াদের দুনিয়ার মুখোমুখি দাঁড়নোর জন্য প্রস্তুত করছি।”