Saturday, July 27, 2024

Building Collapse :বাড়ি ভেঙে পড়ল রাস্তায়, চাপা পড়ে মৃত্যু স্কুটি ও বাইক আরোহীর! আরও মৃত্যুর আশঙ্কা, পুজোর মুখেই কলকাতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: উৎসবের কলকাতায় একই ঘটনায় দুই মৃত্যুর ঘটনায় তাল কাটল খুশির। শনিবার, চতুর্থীর বিকালে মেছুয়া পট্টি এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে অন্ততঃ ২জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। ভাঙা বাড়ির ভেতরে আরও কয়েকজন থাকার সম্ভাবনা থেকে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কলকাতা শহরে আরও একবার পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার এই ঘটনায় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে কলকাতা কর্পোরেশন। বারংবার বাড়ি ভেঙে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটার পরও কেন বিপজ্জনক বাড়ি গুলি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ সম্পূর্ণ হয়ে উঠেনি প্রশ্ন সেটাই। শেষ খবর পাওয়া অবধি জানা গেছে ধ্বংসস্তূপে কয়েকজন আটকে থাকার আশঙ্কায় গভীর রাত অবধি উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ ও দমকলবাহিনী।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকালে কলকাতা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মেছুয়া পট্টির ওই বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা তিনতলা বাড়িটিরএকটি অংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়িটি একেবারে ব্যস্ত রাস্তা রবীন্দ্র সরণীর পাশেই। ওই রাস্তা ধরে স্কুটি, বাইক এবং পথচারীরা যাচ্ছিলেন। বাড়িটি ভেঙে পড়ে তাঁদের ওপর। ইট কাট কংক্রিটের ওপরে পড়ায় থেঁতলে যান বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি ২জন চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতরা হলেন, বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ তৌফিক এবং দমদমের বাসিন্দা রাজু গুপ্তা। আহত ২জন হলেন সুভাষ হাজরা এবং প্রদীপ দাস। তৌফিক স্কুটি এবং রাজু বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ধ্বংসস্তূপের ভিতরে ৪ জনের আটকে থাকাতে পারে অনুমান করা হচ্ছে । ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কলকাতা পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। তাঁরা বাড়িটির সামনের রাস্তা আটকে উদ্ধারকাজ শুরু করে করেছে। যার জেরে চতুর্থীর সন্ধেয় রবীন্দ্র সরণীতে ব্যাপক যানজট হয়েছে।

এদিকে  কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে পর পর দু’টি বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, দীর্ঘদিন ধড়ে এই বাড়িটির বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরফলেই এদিনের এই ঘটনা বলে দাবি স্থানীয় মানুষজনের। তাঁদের দাবি, এলাকাতে বেশ কয়েকটি এমণ বাড়ি রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটে যেতে পারে। অন্যদিকে ১৫দিনের মধ্যে কলকাতা শহরে দ্বিতীয় বিপজ্জনক বাড়িটি ভেঙে পড়ায় পৌরসভার ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।

উল্লেখ্য ২৯ সেপ্টেম্বর আহিরীটোলায় একটি দু’তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ভোর চারটে নাগাদ দোতলা ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে ভিতরে ছিল দু’টি পরিবার। একটি পরিবারের সদস্যরা দেওয়ালে ছিদ্র তৈরি করে বেরিয়ে যায়। তবে আরেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও শিশু-সহ মোট ৯ জন আটকে পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করার হলেও ঘটনায় গুরুতর আহত এক বছরের শিশু ও তাঁর দিদার মৃত্যু হয়। তখন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, কলকাতায় অনেক বিপজ্জনক বাড়ি থাকলেও তা ভেঙে ফেলা যাচ্ছেনা কারন কেউ বাড়ি খালি করতে চাইছেনা। প্রশ্ন হচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে আর কত মৃত্যু গুনতে চাইছে কলকাতা পুরসভা!

- Advertisement -
Latest news
Related news