Saturday, July 27, 2024

Kharagpur Rail Protest: ৪০০ রেলস্টেশন বিক্রী করতে চলেছে কেন্দ্র, বিক্রির পথে ১৫০ ট্রেন! হুঁশিয়ারি খড়গপুরেও

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৪ বছরের মধ্যেই ৪০০ রেল স্টেশন আর ১৫০টি ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে চেতাবনি দিবস বা হুঁশিয়ারি দিবস পালন করলেন রেলের কর্মচারীরা যাতে সামিল হল খড়গপুরও। বুধবার খড়গপুর শহরের দুটি জায়গায় এই চেতাবনি দিবসের অঙ্গ হিসাবে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন খড়গপুর রেল কারখানা ও ওপেন লাইনের কর্মীরা। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেন্স ফেডারেশানের ও দক্ষিন পূর্ব রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের ডাকে খড়্গপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ এর সি.এম.ই গেটের সামনে “চেতাবনী দিবস ” উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপি ধর্নায় বসেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

এই প্রতিবাদ সমাবেশ দুটি থেকে উপস্থিত নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, রেল জাতির সম্পত্তি কোনও সরকার বা দলের নয়। তাই রেলকর্মীরা সর্বশক্তি দিয়েই প্রতিরোধ করবে রেলের সম্পত্তি বিক্রীর চেষ্টাকে। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন জানিয়েছেন, জাতীয় মুদ্রীকরন নীতির(NMP) আওতায় বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বেশ কিছু অংশ বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে ৬লক্ষ কোটি টাকা আয় করবে কেন্দ্র। সেই তালিকায় ৪০০ রেল স্টেশন, ৯০টি যাত্রীবাহী ট্রেন সহ ১৫০ ট্রেন রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ৬৭৩ কিলোমিটার ফ্রেড করিডর, রেলের ১৫টি স্টেডিয়াম ।

প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব বলেছেন শুধু রেল নয়, কেন্দ্রের বিক্রীর তালিকায় রয়েছে ২৬ হাজার ৭০০কিলোমিটার সড়কপথ বিক্রি হবে, ২৮হাজার ৬০৮বিদ্যুৎ লাইন বিক্রি হবে,১৪ হাজার ৯১৭টি টেলিফোন টাওয়ার বিক্রি হবে, ৩ হাজার ৯৩০ রান্নার গ্যাস আর ৮হাজার ১৫৪কিলোমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন বিক্রি হবে। ৯টি সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি বেচা হবে ২৫টি বিমানবন্দরও। র পাশাপাশি ১৬০টি কয়লা ব্লক বিক্রি করে দেওয়া হবে। এই সব জাতীয় সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার যে নীতি নেওয়া হয়েছে তারও বিরুদ্ধে সর্বোত ভাবে রুখে দাঁড়াবেন তাঁরা।

ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় মুদ্রীকরন নীতির(NMP) নামে রেল, বিমা, ভেল, সেইল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা সহ সমস্ত রাস্ট্রীয় ক্ষেত্রের ব্যাপক বেসরকারীকরণ ও তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভা দুটির মধ্যে ওয়ার্কশপে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে উপস্থিত ছিলেন অজিত ঘোষাল।
অন্যদিকে ডিজেল লোকোশেডের সামনে সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন ওপেন লাইনের সভায় নেতৃত্ব দেন সুকান্ত মল্লিক, শংকর মিত্র প্রমুখরা। দুটি জায়গাতেই ব্যাপক জমায়েত করেন কর্মচারীরা।

- Advertisement -
Latest news
Related news