Saturday, July 27, 2024

Midnapore: সবংয়ে কৃষি জমিতে ভেড়ি বানাতে মরিয়া সিন্ডিকেট রাজ! রাসায়নিক ছড়িয়ে ধানের চারা নষ্ট করার অভিযোগ

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল করা যায়না যদিও সেই অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমিকে ভেড়িতে পরিণত করে মাছ চাষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভেড়ি মাফিয়ার দল। সরকারের অনুমতি না থাকলেও সরকারি দলের নেতা কর্মীরা পাশে রয়েছেন। রয়েছেন প্রশাসনে যুক্ত থাকা লোকজন, জনপ্রতিনিধিরাও। অতএব পোয়া বারো ভেড়ি মাফিয়াদের। আর সেই পদ্ধতিতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকার রামভদ্রপুর মৌজায় এগুচ্ছেন ভেড়ি হাঙরের দল।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে
রাসায়নিক ছড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া ক্ষেত দেখছেন হতভাগ্য কৃষক

রুখে দাঁড়িয়েছেন কিছু মানুষ, থানা, পুলিশ, আদালত হয়েছে। হয়েছে প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন কিন্তু কার্যত কেউ নেই ওই মানুষগুলির পাশে। হুমকি, ধমকি, বাইক বাহিনীর শাসানী চলছে, অভিযোগ রাতের অন্ধকারে চলছে বোমাবাজি। সন্ত্রস্ত কৃষিজমি ধরে রাখতে মরিয়া পরিবারগুলি।

এবার শুরু হয়েছে নতুন অত্যাচার। রুখে দাঁড়ানো পরিবারগুলির রোপন করা ধান গাছের চারায় আগাছা নষ্ট করার রাসায়নিক ছড়িয়ে বিঘার পর বিঘা ধান জমি নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই ভেড়ি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। প্রসাশনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছেনা প্রতিকার।

ভেড়ি হাঙরদের প্রস্তুতি

এলাকার নারায়ন চন্দ্র মান্না, বিষ্ণুপদ জানা, সুবলচন্দ্র বেরা, চন্দন মন্ডল এমন দেড় শতাধিক কৃষক বলেন, তারা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করে ভেড়ি আটকিয়ে দিয়েছিলো বলে তাদের এখন ভাতে মারতে ধানের জমিতে আগাছা নষ্ট করার রাসায়নিক ছড়িয়ে ধান জমি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। ভাতে মারার জন্য এমন ঘটনা।

কৃষকরা বলেন এবছর কেলেঘাই নদীর পাড় ১৩ টি জায়গায় ভেঙে সবং, পিংলা সহ ডেবরা ব্লকের কিছু অংশ প্লাবিত হয়ে চার মাস জলের তলায় চলে যায়। এর মূল কারণ কেলেঘাই নদীর ১২০০ মিটার নদীর চর দখল করে কয়েকশ ইট ভাটা সহ কয়েক হাজার অবৈধ ভেড়ী তৈরী হওয়ায় সেই নদীর চর এখন ২০০ মিটারে ঠেকেছে। এখন নদীর চর সংলগ্ন এই রামভদ্রপুর মৌজার ৪৩৭ একর চাষ জমিতে জোর করে অবৈধ ভেড়ি তৈরী করতে ভেড়ি মাফিয়ারা এমন অত্যাচার চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য স্থানীয় প্রসাশন শাসকদলের চাপে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিন ফসলা কৃষি জমি রক্ষার্থে চাষীরা চাঁদা তুলে হাইকোর্টে শরণাপন্ন হয় নভেম্বর মাসে। হাইকোর্ট রায় দেয় ভেড়ি বন্ধ রাখার। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এখনো চলছে দখল নেওয়া চাষ জমিতে অবৈধ ভেড়ি নির্মাণের প্রক্রিয়া। অভিযোগ প্রসাশন নির্বিকার।

ধানের জমি নষ্ট করার অভিযোগ নিয়ে প্রসাশনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকারের আশ্বাস টুকুও জোটেনি। ব্লক ভূমি দপ্তরের কর্তারা নাকি বলেছেন হাতে নাতে ধরে তবেই অভিযোগ নিয়ে আসুন।তারপর ব্যাবস্থা নেওয়া যাবে।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, জে এল নম্বর ৩৯০ রামভদ্রপুর মৌজায় কেলেঘাই নদীর শাখা নদী আমড়াখালি খালের দুই পাড় সংলগ্ন ৪৩৭ একর এমন উর্বর তিন ফসলা চাষের জমিতে জোর করে ভেড়ি তৈরী শুরু হয় গত নভেম্বর মাসে। রাতে সশস্ত্র বাইক বাহিনী গ্রামে গিয়ে চাষীদের হাতে অগ্রিম পাঁচ দশ হাজার টাকা জোর করে গুঁজে দিয়ে কাগজে লিখিয়ে নেওয়া শুরু হয় ভেড়ি তৈরীর চুক্তি। এতে বেশীর ভাগ কৃষক এক জোট হয়ে রাস্তা অবরোধ সহ বিক্ষোভ এবং ব্লক প্রসাশনের দ্বারস্থ হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

- Advertisement -
Latest news
Related news