নিজস্ব সংবাদদাতা: চিতাবাঘকে মেরে তার মাংস দিয়ে ভোজ করার অপরাধে ৩জনকে গ্রেফতার করল বনদপ্তর। গোটা ঘটনায় হৈ-চৈ পড়ে গেছে শিলিগুড়ি এলাকায়। শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুরের ফৌজিজোত এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল বা এসএসবি এবং ঘোষপুকুর রেঞ্জের বন কর্মীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রথমে দু’জনকে আটক করে। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের হদিশ মেলে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চিতাবাঘের কাঁচা চামড়া ও একটি পা। পুলিশের অনুমান ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা জানার পর চক্ষু চড়কগাছ বনদপ্তরের।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ঘোষপুকুর বন বিভাগের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানিয়েছেন, “সপ্তাহ দেড়েক আগে নেট মাধ্যমে আমরা একটি মৃত চিতাবাঘের ছবি ভাইরাল হতে দেখেছিলাম। তখন থেকেই বিষয়টি জানার চেষ্টা করছিলাম আমরা। ইতিমধ্যে ঘোষপুকুর রেঞ্জের কাছে সীমা সুরক্ষা বল মারফত খবর আসে যে, চিতাবাঘের চামড়া পাচার করার চেষ্টা করছেন কয়েকজন। সেই মোতাবেক ফৌজিজোত এলাকায় যৌথ অভিযান চালান তাঁরা। তার পর চিতাবাঘের চামড়া-সহ দু’জনকে আটক করে বন বিভাগ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চিতাবাঘের কাঁচা চামড়া। যা ৮০ হাজার টাকায় নেপালে পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বন্যদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটির চামড়া ও পা দেখে অনুমান করা হচ্ছে চিতাবাঘটির বয়স আনুমানিক ৩বছর। চিতাবাঘটির মাংস রান্না করে খাওয়া হয়েছে। যা আগে এই এলাকার কেউ কখনও শোনেননি। ধৃতদের মধ্যে একজন মালবাজারের রানিচিরা চা বাগানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অন্য দু’জন ফাঁসিদেওয়ার বারোপুটিয়া রাই লাইন এবং কমলা বাগানের পিতালুস খেড়কাট্টা এলাকার বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া এই চিতাবাঘের চামড়া লম্বায় প্রায় ১১০ সেন্টিমিটার এবং চওড়ায় ৬০ সেন্টিমিটার। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলার কথা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঘোষপুকুর বন বিভাগ। চিতা বাঘটি কোনও কারণে মারা গেছিল নাকি সেটিকে হত্যা করা হয়েছিল তাও তদন্ত করে দেখছেন বনকর্তারা। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই অপরাধের মাত্রা লঘু হয়ে যায়না।