নিজস্ব সংবাদদাতা: বাইক চালিয়ে অপরাধী তাড়া করে ফাঁদে ফেললেন SDPO Kharagpur দীপক সরকার। ‘অপারেশন মোটা রাজা’ সফল করল পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ। আর রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় করা এই অপারেশনের নেতৃত্ব দিলেন SDPO খড়গপুর দীপক সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অম্লান কুসুম ঘোষ। আর এই অপারেশনে ভূমিকা নেওয়ায় পুরো দলটার জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার। শনিবার রাত ৮ টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে মেদিনীপুর শহরের ২জায়গায় গুলি চালিয়ে শহরকে ত্রস্ত করেছিল এই মোটা রাজার নেতৃত্বাধীন দুষ্কৃতি বাহিনী। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয় মোটা রাজাকে। স্বস্তিতে গোটা মেদিনীপুরবাসী।
শনিবার ঘটনার খবর পেয়েই জেলার সমস্ত চেকপোস্ট, টোলপ্লাজা আর নাকা চেকিং পয়েন্টকে সতর্ক করেছিল জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। প্রত্যেকটি থানা থেকে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয় নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, পদ্মাবতী শশ্মানের কাছে শেষ অপারেশন করে জগন্নাথ মন্দির হয়ে খড়গপুরের পথে রওনা দিয়েছে দুষ্কৃতিদলটি। সেই মত SDPO খড়গপুর নিজে মোটর বাইক ও নিজস্ব বাহিনী নিয়ে তৈরি হয়ে পড়েন। চৌরঙ্গী ও রূপনারায়নপুর মোড় ঘিরে ফেলা হয় বাহিনী দিয়ে। পুলিশ পৌঁছে যায় ঝাড়গ্রামমুখী জাতীয় সড়কের ওয়ালিপুর মোড়েও।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সতকুইয়ের কিছুটা আগেই বাইক ঘুরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত মোটা রাজা। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার তার টিম নিয়ে ধাওয়া করে বাইকটিকে। এবার মোটা রাজার লক্ষ্য মেদিনীপুর শহর এড়িয়ে ধর্মা হয় শালবনির দিকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ধর্মা টোলপ্লাজার কাছে ওত পেতে বসে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান কুসুম ঘোষ এর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী। টোল প্লাজার সামনে আসতেই চারদিকে গোল করে ঘিরে ফিল্মি কায়দায় ধরে ফেলা হয় মোটা রাজা কে।
দু চার বার বাইক নিয়ে এদিক ওদিক পালানোর চেষ্টা করলেও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েন অভিযুক্ত মোটা রাজা। অভিযুক্ত এর কাছ থেকে একটি 9mm পিস্তল সহ তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।খড়গপুর এর এসডিপিও দীপক কুমার ঘোষ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান কুসুম ঘোষের নেতৃত্বে এই অপারেশন সফল করার জন্য পুলিশের এই কাজের জন্য জেলার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।