Saturday, July 27, 2024

Kharagpur :পুজোর আগে খড়গপুরে অপরাধ কমাতে তৎপর পুলিশ! শহরে আরও CCTV লাগানোর জন্য ব্যবসায়ী ও ক্লাবগুলিকে আবেদন জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার

West Midnapore Superintendent of Police Dinesh Kumar has appealed to traders and clubs to install more CCTV cameras to reduce crime in Kharagpur city. Speaking at a press conference at Kharagpur Town Police Station on Thursday, Mr. Kumar said, “In the last few months, it has been possible to track down a number of crimes by monitoring CCTV across the city of Kharagpur. Several lost mobiles and ornaments were recovered. So we felt the need to install more CCTV cameras across the city of Kharagpur. Police have installed 635 CCTV cameras across Kharagpur city, some of which are not working due to various reasons. We're trying to get rid of them, and we're asking business associations and clubs to do the same for you. "

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজো আসছে আর তার আগে খড়গপুর শহর থেকে অপরাধ হ্রাস করতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ। খড়গপুরের মত অপরাধ প্রবন এলাকা থেকে অপরাধ হয়ত মুছে ফেলা সম্ভব হবেনা কিন্তু অপরাধের ওপর নিজেদের রাশ বজায় রাখতে একগুচ্ছ ভাবনা যে পুলিশের রয়েছে তাই জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। শ্রী কুমারের প্রাথমিক আবেদন  শহরের অপরাধ কমানোর লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি শহরের ব্যবসায়ী ও ক্লাবগুলি বেশি বেশি করে CCTV ক্যামেরা লাগান।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

বৃহস্পতিবার খড়গপুর টাউন থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী কুমার বলেন, ‘বিগত কয়েকমাসে খড়গপুর শহর জুড়ে CCTV তেই নজরদারি করে বেশ কিছু অপরাধের হদিস করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু খোয়া যাওয়া মোবাইল এবং অলঙ্কার। তাই আমাদের মনে হয়েছে খড়গপুর শহর জুড়ে আরও CCTV ক্যামেরা লাগানো দরকার। পুলিশের পক্ষ থেকে খড়গপুর শহর জুড়ে ৭৩৫টি CCTV ক্যামেরা লাগানো আছে যার মধ্যে বিভিন্ন কারনে কিছু ক্যামেরা কাজ করছেনা। সেগুলো আমরা সরানোর চেষ্টা করছি পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতি ও ক্লাবগুলোকেও অনুরোধ করছি আপনারও যদি CCTV ক্যামেরা লাগাতে পারেন তাহলে ভালো হয়।”

এদিন পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ”গত কয়েকমাস ধরে খড়গপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৪টি নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। খড়গপুর শহর ও খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার কিছু স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে এই নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে যাতে খড়গপুর শহরে অপরাধ করে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে। এই পয়েন্টগুলোতেও CCTV ক্যামেরা বসানো রয়েছে যাতে কারা শহরে ঢুকছে এবং বের হচ্ছে তারওপর নজরদারি করা যায়। আর এই সমস্ত কাজের ফল হিসাবে আমরা খোয়া যাওয়া ৩৫টি মোবাইল ফোন, ২টি সোনার হার সহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করেছি।”

এদিন পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, শহর জুড়ে দুর্ঘটনা রোধের জন্য নাবালক বাইক আরোহীদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। যদি কোনও নাবালক বাইক সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তবে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। পুলিশ সুপার এদিন শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর), মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং টাউন আই.সি সহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের।

খড়গপুর পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে শহরের বাজার এলাকা গুলিতেই অন্ততঃ দেড় থেকে দু’হাজার CCTV ক্যামেরা প্রয়োজন। এরমধ্যে ইন্দা, খরিদা, মালঞ্চ, পুরানো বাজার, গোলবাজার, কৌশল্যা, নিমপুরায় বেশি মাত্রায় CCTV দরকার। কিন্তু পুলিশের নিজস্ব তহবিল থেকে এত ক্যামেরা বসানো সম্ভব নয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, শুধু গোলবাজারেই দুশো CCTV বসাতে পারলে ভালো হয়। গোলবাজারের ৮টি বড় রাস্তা সহ অসংখ্য গলি রয়েছে। কোনও একটি ক্যামেরা খারাপ হলে যাতে পরের ক্যামেরাটি অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে পারলে ভালো হয়। তাই আমরা চাইছি ব্যবসায়ীরা আরও কিছু ক্যামেরা বসান। কিছু ব্যবসায়ী দোকানে ক্যামেরা রেখেছেন। আমরা চাইছি ব্যবসায়ী সমিতিগুলি যদি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে দোকানের বাইরে রাস্তায়, মোড়ে আরও কিছু ক্যামেরা বসান তাহলে ভালো হয়। আমরা স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট গুলো বলে দিতে পারি।

বাজার এলাকার বাইরে বসতি এলাকায় ক্লাবগুলির কছে পুলিশের আবেদন তারাও যদি নিজ নিজ এলাকায় CCTV ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেন ভালো হয়। খড়গপুর পুরসভার পক্ষে জানানো হয়েছে পুরসভার উদ্যোগে শহর জুড়ে বেশ কিছু রাস্তা হাইমাস, লোমাস দিয়ে আলোকিত করা হয়েছে। যদি ক্লাবগুলো চায় কোনও এলাকায় CCTV ক্যামেরা বসাবে তারা তবে সেই এলাকায় যদি পর্যাপ্ত আলো না থাকে তবে আলোর ব্যবস্থা করবে পৌরসভা। খড়গপুরের প্রাক্তন পুর প্রধান তথা বর্তমান কো-অর্ডিনেটার জহরলাল পাল জানিয়েছেন, “শহরকে অপরাধ মুক্ত করতে পুলিশের সাথে এগিয়ে আসতে হবে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনকেও। সেক্ষেত্রে পুরসভার যদি কোনও সাহায্য প্রয়োজন হয় পুরসভা তা নিশ্চিতভাবেই প্রদান করবে।”

- Advertisement -
Latest news
Related news